মাসুদ চাষার ছেলে। সে বাদে তার চৌদ্দপুরুষে কেউ উচ্চশিক্ষিত নেই। মোটাদাগে বলা যায় জ্ঞাতিগোষ্ঠির মধ্যে সেই প্রথম গ্রাজুয়েট। তবুও মাসুদ ঝাড়-ফুক তাবিজ-কবজ তুক-তাকে বিশ্বাস করে না। এ নাকি তার অহঙ্কার। পাড়ার লোকজন তাকে ক্যাটাং করে বলে ‘আধুনিক চ্যাংড়া’। স্কুলে বিশেষ করে কলেজে পড়ার সময় ধুমধারাক্কা টাইপের পোশাকি সিনেমা দেখে চিত্রনায়িকা পপির প্রেমে পড়ে এবং মনে মনে স্থির করে এমন শার্ট প্যান্ট পরা আধুনিকাকেই বিয়ে করবে সে, নতুবা নয়।
কিন্তু হায়! বিএ পাস করেছে কবে। একটার পর একটা জুতার তলা ক্ষয় হয়ে গেছে কিন্তু চাকরি জোটাতে পারে নি মাসুদ। বিয়ে করে আধুনিকা বউকে খাওয়াবে কী আর পরাবেই বা কী! কথায় বলে ভাগ্যবানের বোঝা ভগবান বয়। চাকরির বয়স যখন শেষ তখন একটা বিজ্ঞাপন পায়। প্রতিবারের মতো এবারও হতাশ মনে দরখাস্ত করে।
মাসখানেক পর সাক্ষাৎকার পত্র পায়। অন্তর হু হু করে কেঁদে ওঠে হায়! তদবির করার মতো মামা চাচা মন্ত্রী ফন্ত্রী কেউ নাই, বাপের টাকার জোরও নাই যে ঘুষ দিয়ে চাকরি নেবে। আগামী পরশু সাক্ষাৎকার। ঘর অন্ধকার করে শুয়ে আছে। কতোকিছু ভাবে। ইন্টারভিউটা দিতে যাবে কি যাবে না।
এমন সময় উঠোনে মোটরসাইকেল থামার শব্দ পায় মাসুদ। সে জানে কে হতে পারে। সাহেদ চিৎকার করতে করতে ঘরে ঢোকেÑ মাসুদ, এ মাসুদ। কি রে, এই ঘোর সন্ধ্যায় ঘর অন্ধকার করে শুয়ে আছিস, তাও আবার মশারি দিয়ে? কী হয়েছে তোর?
কী আর হবে? তোর দুলাভাই পুলিশের বড়ো অফিসার, বিএ পাশ করার পর পরই পুলিশের এস আই পদে চাকরি পাইছিস। বেতন আর কয় টাকা, দিন গেলে পকেট ভর্তি উপরি। এ্যাপাচি মোটরসাইকেল হাঁকাচ্ছিস। আমার যে কোনো উপায় নাই রে দোস্। পরশু ইন্টারভিউ, মনে করছিলাম যাবো না। শেষমেশ ভেবে দেখলাম যাওয়াই উচিত, তাই সকালে ঢাকা যাবো। মনে কর, জীবনের এই শেষ ইন্টারভিউ।
ও ও ও। তাই ক।
সাহেদ কিছুক্ষণ কী যেন ভাবে। ধপ কওে উঠে দাঁড়ায়, মাসুদের গলার গামছা ধরে টানে ওঠ, শার্ট প্যান্ট পর, চল।
কোথায়?
চল তো, এই যাবো আর আসবো। ঘণ্টা দুয়েকের ব্যাপার।
মাসুদ আট দশ মিনিট ধুম ধরে বসে থাকে। কথা বলে না। সাত পাঁচ ভাবেÑ যাবে কী যাবে না। অতঃপর সাহেদের জোরাজুরিতে মাসুদ মোটরসাইকেলে ওঠে। ঘণ্টাখানেক চলার পর ওরা একটা খানকায় পৌঁছে। খানকার মাঝখানে লাল গিলাফ দেওয়া মাজার। ওখানকার বড়ো হুজুর পীরে কামেল বাবা আরবাজ আলি খানের সাথে সাহেবের খুব খাতির।
মাসুদ নিজেকে প্রশ্ন করে সাহেদের কাছে অই পীর বাবার কথা তো আগে শোনে নাই, তাহলে কি চাকরি পাওয়ার পর থেকে সম্পর্ক হলো, কিসের এই সম্পর্ক!
সাহেদ পীর বাবাকে মাসুদের ব্যাপারটা খুলে বলে। তিনি মাসুদকে এক নজর দেখে পাঁচ ছয় মিনিট চোখ বন্ধ করে মাথা নিচু করে বসে থাকেন। লাল কালির কলম দিয়ে সাদা কাগজে আরবি হরফে কী সব আঁকিবুকি করেন। তারপর একটা মাদুলি দিয়ে বলেনÑ আব্বা, ভক্তিসহ ডান হাতে বেঁধে রাখেন। আলাহ মালিক।
নিজ পরিবার থেকে শুরু করে পাড়াগাঁয়ের আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সবাইকে অবাক করে সত্যিই মাসুদ কেরানি পদের সরকারি চাকরিটা পায়। এক দুই করে আরো পাঁচ ছয় বছর অতিক্রান্ত হয়। কল্পনার রঙে আঁকা মনের মতো পাত্রী না পেয়ে মাসুদসহ বাড়ির লোক এখন হতাশ।
একদিন দুপুরে মোবাইল আসে, আজই তাকে বাড়ি ফিরতে হবে। বাড়ির লোক কারণ জানায় নি। মাসুদের ধারণা বিয়ের কথা হতে পারে। এতোদিন পর হঠাৎ মাসুদের মাদুলির কথাটা মনে পড়ে। হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে সেটা। খুঁজতে খুঁজতে ওটা পায় বাক্সের তলাকার এক কোণে। এক্ষণে সে আফসোসে জ্বলে মরে হায়! মাদুলিটি অবহেলা করে ফেলে রাখাটা তার মোটেও ঠিক হয় নি, হয় তো তাই বিয়েটা হচ্ছে না। সে ভক্তিসহ মাদুলিটি পুনরায় ডান বাহুতে বেঁধে নেয়। একবার দু’বার নয়, মাদুলিটিকে তিন তিনবার চুম্বন করে তবেই মেসঘর থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
মাসুদ দীর্ঘক্ষণ বসে আছে লালমনিরহাট রেল স্টেশনে। সন্ধ্যার মেল ট্রেন ধরবে। গন্তব্য পাবনার চাটমোহর গ্রামের বাড়ি। আহা, কতোদিন যে সে বাড়ি ছাড়া। মনে পড়ে মায়ের দুঃখভরা স্নেহের মুখখানা, ছোটো ভাই বোনদের নানা আবদার। সবুজ বৃক্ষের ছায়ায় করগেটেড টিনের বাড়িটি। কালো গরুর মোটা সর পড়া দুধ। গাঁয়ের স্কুলের সবুজ মাঠ আর অদূরে চিকনাই নদী আর তার সুস্বাদু মাছ। নদী তীরে ঢেউ খেলানো ধানের মাঠ।
ট্রেনের প্রতিক্ষায় বসে থাকাটা মাসুদের আটপৌড়ে মনে হয়। সময় যতো যায় মুখের বলিরেখা ততো পুষ্ট হয়। ললাটে ফুটে ওঠে বিন্দু বিন্দু ঘাম। দু’ঘণ্টা অতিক্রম করেছে ট্রেনের খবর নাই। হঠাৎ মন তিক্ত করা খবর আসে, অনিবার্য কারণবশত কর্তৃপক্ষ ট্রেনটি বাতিল করেছে। অগত্যা লোকাল ট্রেন ধরে যাত্রা করতে হয়। বাংলাদেশের লোকাল ট্রেন যে কী জিনিস তা না চড়েও অনুধাবন করা যায় পেসেঞ্জারের বিধস্ত চেহারা আর ধূলি ধূসরিত মলিন কপড় চোপড় দেখে। তবুও আশা পূরণ হতে যাচ্ছে এই ধারণায় মাসুদ ট্রেনের বগিতে পা রাখার পূর্বে মাদুলিটিকে তিন বার চুম্বন করে। মন প্রফুল হয়ে ওঠে এতোক্ষণ যা হবার হয়েছে আশা করা যায় যাত্রা শুভ হবে।
ঠ্যালাঠেলি করে ট্রেনে উঠে সিট পেলেও কামরায় নাই কোনো আলো। বৈদ্যুতিক পাখা ছাদে ঝুলে থেকে লাভ কী, যদি না ঘোরে! লম্বালম্বি দু’সিটের মাঝে গাদাগাদি করে লোক দাঁড়িয়ে। ভ্যাপসা গরমে গুমোট হয়ে আছে কক্ষটি। ভাদ্রের তালপাকা গরমে মানুষ সেদ্ধ হতে বাকি নাই। ভূতের মতো দরদর করে ঘামে সে।
এ ট্রেনটিও বিলম্বে ছাড়ে। এই সুযোগে বিভিন্ন বয়সের লোকেরা সুখ দুঃখ আনন্দ বেদনার গালগপ্পে মেতে ওঠে। মাসুদ মুখচোরা স্বভাবের। গাদামারা লোকজনের গা থেকে ভুরভুর করে ভটকা গন্ধ ভেসে আসে। সেই সাথে দাঁত না-মাজা মুখের দুর্গন্ধ। মাসুদ ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে ওঠে। শৌচাগারের আশপাশে তো যাওয়াই যায় না। পায়খানা পস্রাবের তীব্র ঝাঁজে নাক ঝালাপালা। কেউ কেউ আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সিগারেট টানে।
একমুখি রেলপথ। ক্রসিংয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। মাসুদ ভাবে আজ মাদুলিতে ছুঁত-ছায়া লাগে নি তো! একটার পর একটা বাধা পড়ছে। কপালে আরও কতো কী আছে কে জানে। ক্ষোভে মন বিষিয়ে ওঠে, দুঃখে কেঁদে ফেলতে ইচ্ছা করে।
পিঁপড়ের গতিতে চলতে থাকা ট্রেন মাঝ রাতে যখন সান্তাহার স্টেশনে পৌঁছে তখন আধুনিক পোশাক পরিহিতা এক নারী ভিড় ঠেলে মাসুদদের কামরায় প্রবেশ করে। মাসুদকে বিস্মিত করে যুবতীটি তার সিটের পাশে দাঁড়ায়। দেহে বিদ্যুৎ খেলে যায়। স্টেশনের ক্ষীণ আলোয় যুবতীর ফর্সা মুখ ও হাত প্রস্ফুটিত গোলাপের মতো মনে হয়। সকলের দৃষ্টি আগন্তুকের দিকে নিবদ্ধ। সকলের অভিব্যক্তি দেখে মনে হয় কোনো বিদেশিনী প্রবেশ করেছে। মৃদু গুঞ্জন শোনা যায়। একজন ভদ্রতা-জ্ঞানে সিট ছেড়ে নারীটিকে বসতে দেয়।
আঁটাআঁটির জন্যে যুবতীর দেহ মাসুদের দেহের সাথে সেঁটে আছে। মাসুদ নড়েচড়ে তার দিকে আরেকটু ঘেঁষে বসে। দুর্গন্ধ ভিড় আর অসহ্য গরমের মধ্যে বিরক্তিকর দীর্ঘ ধীরগতির জার্নিও এখন তার ভালো লাগতে শুরু করে। সে সারাক্ষণ যুবতীর দিকে ঝুঁকে থাকে। মাসুদের মনে হয় শত বাধা অতিক্রম করে মাদুলিটি কাজ করতে শুরু করেছে। বাংলা চ্যানেলে দেখা সাদা কালো সিনেমা সপ্তপদীর কথা মনে পড়ে। নিজেকে উত্তম কুমার আর অই যুবতীকে সুচিত্রা সেন মনে করে মনে মনে প্লেব্যাক করতে থাকে সেই গান এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হতো তুমি বলো তো?
মাসুদের কটির সাথে রমণীর কটি ঘেঁষে আছে। আহা কী কোমল, কী উষ্ণ। মনে হয় যুবতীর দেহ থেকে বিদ্যুৎতরঙ্গ পোনা মাছের মতো ঝাঁকে ঝাঁকে তার দেহে প্রবেশ করছে। মাসুদ চোখ বন্ধ করে কনুই দিয়ে তনয়ার বক্ষের উপর মৃদু চাপ দেয়। ইস! কী সুখ এখানে লুকিয়ে। মাসুদের ভয় ভয়ও করে। যদি টের পায়! তথাপি মাসুদ সাবধানে মেয়েটির দেহের গন্ধ নেয়। এমন রোমাঞ্চ মাসুদ পূর্বে কখনও অনুভব করে নি। সে নিজেকে প্রশ্ন করেÑ যুবতীও কি তার মতো করে ভাবতে শুরু করেছ নাকি টের পাচ্ছে তার কুবাসনা আর কুকৃর্তির কথা ? পায় পাক, সাবধানে মজা নিতে হবে। ইস্ কী তুলতুলে শরীরটা। আর কী মিষ্টি গন্ধ।
মাসুদের মনে হয় ট্রেনটি এখন ভেঙেচুরে ঝড়ের গতিতে সাঁ সাঁ করে চলছে। সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। কী যন্ত্রণা! এই মধুর সময়ে এই কি মাদুলির উচিত ব্যবহার? তবু মুহূর্তগুলো খুব ভালো লাগে। মাসুদ আপন মনে ভাবে এই বুঝি সেই আধুনিকা যাকে এতোদিন মনে মনে কামনা করেছে। চুলোই যাক বাড়ি যাওয়া, এখন বিয়ের বড়ো সাধ জেগেছে। আজ এই যুবতীর বাড়ির ঠিকানা খুঁজে নেবে। অতঃপর বিয়ের প্রস্তাব দেবে। এতোদিনে বাড়ির লোকেরা পাত্রীর সন্ধান দিতে না পেরে হতাশ। হালও ছেড়ে দিয়েছে। এক্ষণে প্রকৃত পাত্রীর সন্ধান পেয়েছে। ধন্য মাদুলি। ধন্য পীরবাবা। ধন্য অদ্যকার যাত্রা। সকলের অলক্ষ্যে সে পর পর তিনবার মাদুলিটিকে চুম্বন করে।
দুখের দিন ঠেলেও সরানো যায় না কিন্তু সুখের দিন দ্রুতই চলে যায়। প্রত্যূষ হবার কিছু পূর্বে সিটি বাজিয়ে ঝনঝন শব্দে ট্রেনটি চাটমোহর স্টেশন কাঁপিয়ে দাঁড়ায়। মাসুদের মনের কোণে বেজে ওঠে করুণ সুর। তার নামার লক্ষণ নাই।
মাসুদ কোন তালে ছিলো কে জানে। হঠাৎ লক্ষ্য করে রমণীটি ভিড় ঠেলে নামতে শুরু করেছে। পড়িমরি করে মাসুদ তাকে অনুসরণ করে। হনহন করে হেঁটে নারীমূর্তি একটি রিক্সায় ওঠে। আশ্চর্য! সে তো তাদের বাড়ির রাস্তা ধরে যাচ্ছে। ভালোই তো, এক এক করে সবকিছু হাতের নাগালেই চলে আসছে। সব মাদুলির অবদান।
মাসুদ কবজটিকে আকেবার চুম্বন করে অন্য একটি রিক্সায় ওঠে এবং রিক্সাঅলাকে বলেÑ অই মিয়া, অই রিক্সার পেছন পেছন যাও। জলদি করো।
রিক্সা মাসুদদের পাড়ায় চলে এসেছে। বাহ! সব ফকফকা। আজ তাকে কোনোকিছুর জন্যে আতিপাতি করতে হচ্ছে না, আপনা আপনিই কল্পনা রাজ্যের রাজা হতে যাচ্ছে সে। হবে না আবার! এটা যেনো তেনো মাদুলি নয়। এর অলৌকিক ক্ষমতা সম্বন্ধে কেবল সে জানে আর জানেন পীরবাবা স্বয়ং। মাসুদের মন খুশিতে বলকে ওঠে এক ঢিলে দু’পাখি। সাধের বাড়ি আর সখের নারী।
ভোরের আলো একটু একটু করে ফুটতে শুরু করে। পেছন থেকে নারীটিমূর্তির রেশম কালো চুল উড়তে দেখা যায়। সুন্দর মুখের অংশবিশেষও। মোটামুটি ফর্সা। দুধে আলতা ফালতা না হলেও চলবে। ছিপছিপে গড়ন। আধুনিকাও। স্কিনটাইট প্যান্ট সার্ট পরে। বুকে মাজায় মানানসই। লম্বায় তার মতো বা কিছুটা মাথা তোলা। হোক, সমস্যা নাই। স্ত্রীলোক লম্বা হলে সন্তানাদিও ক্রিকেট প্লেয়ারের মতো লম্বা হবে। এমন নারীই চাই।
মাসুদ ঘন ঘন মাদুলিটিকে চুম্বন করে। বহু প্রতীক্ষিত ইচ্ছা আজ পূরণ হতে চলেছে। রিক্সা যতোই এগোয় মাসুদ ততোই বিস্মিত ও পুলকিত। রিক্সাটি এখন তাদের বাড়ির কাছাকাছি। আরে! সে এই পাড়ার মেয়ে অথচ মাসুদ কিছুই জানে না। ধিক্ এ কপালের। বাবা তাবিজ, এতোদিন কোথায় ছিলেন? তাবিজটিকে অবহেলায় বাক্সে ফেলে রাখার ফল।
হঠাৎ সামনের রিক্সাটি সিদ্দিকের বাড়ির সামনে থামে। মাসুদদের বাড়ি এখান থেকে মাত্র দেড় দু’শ গজ উত্তরে। রিক্সা থেকে যুবতীটি নামছে। মাসুদের হৃদকম্প বৃদ্ধি পাচ্ছে। সারা দেহ থর থর করে কাঁপছে।
মাসুদ ট্যারা চোখে যুবতীকে নীরিখ করে। নারীমূর্তিও এখন তাকে লক্ষ্য করে। সহসা পুরুষালি কণ্ঠে যুবতীটি চিৎকার করে ওঠে মাসুদ ভাই, আপনি?
মাসুদ চমকে ওঠে এবং হতবাক হয়ে দেখে সাত আট বছর পূর্বে গ্রাম-পালানো বখে যাওয়া যুবক সিদ্দিক তার দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে…
লেখক: কবি, গল্পকার ও সম্পাদক, পাবনা।
মানসিক বুদ্ধি বাড়ানোর উপায় কী?
১.কিছু সময় একদম একা একা এক মনে থাকার চেষ্টা করুন।
২.যেকোন ভাষা শেখা শুরু করতে পারেন।
৩.বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৪.অপ্রয়োজনীয় কথা-বার্তা ও আড্ডা বাদ কমানোর চেষ্টা করুন।
৫.গণিত চর্চা করতে পারেন।
৬.বিভিন্ন সমস্যা আর তার সমাধান নিয়ে ভাবুন।
৭.জ্ঞানি-বুঝমান ও সৎ মানুষের সংসর্গে থাকার চেষ্টা করুন আর অযৌক্তিক,
অহেতুক কথা বার্তা বলা থেকে বিরত থাকুন।
৮.পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
আমার জানা মতে এটুকুই….