বায়ুমন্ডল স্রষ্টার এমন একটি অপূর্ব সৃষ্টি যার বিশাল বিস্ময়কর কৃপায় প্রাণী ও উদ্ভিদজগৎ এ পৃথিবীতে সুখে শান্তিতে মায়ের কোলে মাসুম শিশু যেমন বক্ষে মজুদ স্রষ্টার অফুরন্ত সুখাদ্য, সুপেয় সঞ্জীবনী সুধায় পরিতৃপ্ত হয়ে মনের অজান্তে কোমল প্রসারিত বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ে এক শান্তির রাজ্যে, ঠিক তেমনি এ শান্ত পৃথিবীর বুকে মাথা রেখে মানব ঘুমিয়ে আছে। মানব জানতে ও বুঝতে পারেনা যে, অজানা কত অদৃশ্য শক্তির তান্ডবলীলা ঘটে যাচ্ছে বায়ুমন্ডলে। কত অদৃশ্য শক্তি বায়ুমন্ডলকে মারছে মরণ ছোবল, যে ছোবলগুলো মানব বসবাসের কাছাকাছি আসতে পারলে নিমিশের মধ্যে শেষ হয়ে যেত জীবজগৎ; খুঁজে পাওয়া যেত না মানবের অস্তিত্ব।
বায়ুমন্ডলের সমন্বয় ও প্রতিরোধ্যতার ফসল হিসেবে টিকে আছে মানব ও উদ্ভিদ জগতের অস্তিত্ব। তাই বায়ুমন্ডল সর্ম্পকে কিছু আলোচনা অতীব জরুরী বলে আমি মনে করছি। প্রথমে আমাদের জানা দরকার যে- যার অপূর্ব মহিমায় মানব মহিমান্বিত সেই মহা কল্যাণকর বায়ুমন্ডল কি? পূর্বের আলোচনায় আপনারা জানতে পেরেছেন যে, স্রষ্টা গোট পৃথিবীকে আচ্ছাদনে আচ্ছাদিত করে ভাসমান অবস্থায় জীবমন্ডলকে সুরক্ষা নিছিদ্র নিরাপত্তার ভিতরে নজিরবিহীনভাবে নিরাপদে রেখেছেন। এখানে আচ্ছাদন বলতে স্তরবিন্যাসকে বা আবরণ বিন্যাসকে বুঝানো হয়েছে, বায়ুর এই স্তর বা আবরণের সমষ্টিগত রূপই হচ্ছে বায়ুমন্ডল। বায়ুর এই স্তর বা আবরণ ভূ-পৃষ্ঠকে পরিবেষ্টন করে রেখেছে। বায়ুমন্ডলকে স্রষ্টা ভূ-পৃষ্ঠ থেকে নির্দিষ্ট সীমানা বা পরিধির মধ্যে আবদ্ধ রেখেছেন। স্রষ্টার এই নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অনাদিকাল পর্যন্ত অপরিবর্তিত অবস্থায় থাকবে।
স্রষ্টা এই নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি চিরস্থায়ী ও অপরিবর্তিত রাখার জন্য আর একটি অদৃশ্য শক্তির অধীন করে রেখেছেন বায়ুমন্ডলকে, যার নাম মাধ্যাকর্ষণজনিত শক্তি। এই মাধ্যাকর্ষণজনিত শক্তির ফলে বায়ুমন্ডল ভূ-পৃষ্ঠের সাথে গভীর সম্পর্কের এক সুমহান ধারা অব্যাহত রেখেছে। বায়ুমন্ডল বিভিন্ন গ্যাসের সংমিশ্রনে গঠিত, এই গ্যাসীয় মিশ্রণ ভূ-পৃষ্ঠ থেকে আনুমানিক ৮০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত প্রায় সমান। বিশুদ্ধ শুষ্ক বায়ুর প্রধান উপাদান হচ্ছে নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন। এছাড়াও আর্গন, কার্বনডাই অক্সাইড, ওজোন, নিয়ন, হিলিয়াম, ক্রিপটন, জেনন, হাইড্রোজেন, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড ইত্যাদি। বায়ুমন্ডল চারটি স্তর দ্বারা গঠিত। স্তরগুলো হচ্ছে ট্রপোমন্ডল, ষ্ট্রোটোমন্ডল, মেসোমন্ডল ও তাপমন্ডল। এই স্তরগুলো স্রষ্টার নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বজায় রেখে সমন্বয় ও প্রতিরোধ্যতার ধারায় জীবমন্ডলকে পৃথিবীতে নিরাপদে রেখেছেন।
প্রতি মুহূর্তে সূর্যের হাজারো বিস্ফোরণ সংগঠিত হয়, যা হাইড্রোজেন বোমার চেয়েও শক্তিশালী। সূর্য উক্ত বিস্ফোরণগুলো করোণাতে নিক্ষেপ করে, করোণা হলো সূর্যের প্রান্ত সীমার অব্যাহত পর বিশাল শূন্য- যা প্লুটো কিংবা তারপর পর্যন্ত বিস্তৃত। সূর্যের অন্তঃস্থ হতে প্রাপ্ত শক্তি ও করোণার অবিশ্বাস্য উত্তাপের ফলশ্র“তিতে স¤প্রসারিত হতে থাকে। এই গ্যাস ও ধূলিকণা এক তীব্র বেগ নিয়ে চারদিকে সমভাবে প্রসারিত হতে থাকে, ধাবমান এই গ্যাসগুলোকে সৌরবায়ু বলে। এই সৌরবায়ু পৃথিবীকে আঘাত হানে প্রচন্ড শক্তিতে।
আমাদের জানার বাহিরে থেকে বায়ুমন্ডল এ সৌরবায়ুকে প্রচন্ড প্রতাপে ফিরিয়ে দেয়। ফলে অভিশপ্ত এই সৌরবায়ু জীবমন্ডলের উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে না। নিশ্চিত মৃত্যু প্রতিদিন প্রতিক্ষণ পৃথিবীর চারপাশে খেলে যায়, খেলতে থাকে। মহা কল্যাণকর বায়ুমন্ডল তা একটুও বুঝতে দেয় না। এছাড়াও স্রষ্টার আর একটি অদৃশ্য শক্তি মহাশূন্য থেকে প্রতিদিন পৃথিবীকে আঘাত হানার জন্য ছুটে আসছে যার নাম উল্কা। প্রতিদিন প্রায় ৮০ লক্ষের মত উল্কা পৃথিবীকে আঘাত হানে, রাতের বেলা আকাশের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় উল্কা পতনের দৃশ্য। মানব এই উল্কা পতনের মূলতঃ রহস্য বুঝেনা বলেই আনন্দ পায়। মানব জানেনা যে একটা উল্কা পতন এই পৃথিবীর জন্য কত বড় দুঃসংবাদ। এই অভিশপ্ত উল্কাগুলোকে বায়ুমন্ডল প্রতিরোধ্যতার ধারা বজায় রেখে ধবংস করে দেয়, ফলে জীবমন্ডলে প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয়। এরপরেও মঙ্গল পরিধিতলের অব্যহতির পর এন্টিয়রেট ও মেটিয়রটি নামক দুটি অদৃশ্য শক্তি প্রতিদিন জীবমন্ডলকে আঘাত হানার জন্য ধেয়ে আসছে। যা বায়ুমন্ডলের প্রতিরোধ্যতার কারণে ব্যর্থ হচ্ছে ফলে জীবমন্ডল বেঁচে আছে।
সুহৃদ পাঠক, মহাশূন্য শব্দটিকে আপনারা কিভাবে মূল্যায়ন করছেন জানিনা। তবে সৃষ্টির মধ্যে মহাশূন্য বলে কিছু নেই, মহাশূন্যকে যদি অস্তিত্বহীন পদার্থহীন বলে মনে করেন তাহলে ভুল করবেন। কারণ মহাশূন্য মূলতঃ অসংখ্য শক্তিকণা বা অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার এক মহাবিশাল সমুদ্র। এই বিশাল সমুদ্র হতে মহাজাগতিক নামে রশ্মিগুলো প্রতি মুহূর্তে পৃথিবীতে আঘাত হানছে, জীবন ঘাতক এই মহাজাগতিক রশ্মিগুলোকে পতনে বায়ুমন্ডল যদি ব্যর্থ হত তাহলে জীবের দেহ কোষকলায় অযুত লক্ষ ক্যানসার কোষ তৈয়ার করে জীবমন্ডলকে ক্ষণেকের মধ্যে ধবংস করে দিত। স্রষ্টা এই পৃথিবীকে এমন এক শক্তির সমন্বয়ে সৃষ্টি যা অন্যান্য দৃশ্য ও অদৃশ্য শক্তি পৃথিবীতে প্রবেশের অনুমোদনও বানচাল করার ক্ষমতা রাখে। এই অদৃশ্য শক্তি হচ্ছে চৌম্বক শক্তি। চৌম্বকত্ব শক্তি, বায়ুমন্ডল ও মহাজাগতিক রশ্মিগুলোর মধ্যে একে অপরের প্রতি রয়েছে এক অপূর্ব সমন্বয়।
মহাজাগতিক রশ্মিগুলো যখন প্রচন্ড বেগে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে, পৃথিবীর চৌম্বকত্ব শক্তি তখন মহাজাগতিক ক্ষতিকর রশ্মি ও বস্তুকণাগুলোকে ধারণ করে জীবমন্ডলের বসবাসের এলাকা অর্থাৎ নিরক্ষীয় অঞ্চল হতে টেনে বা ছেকে নিয়ে যায় মেরু অঞ্চলের দিকে, যেখানে জীব নেই। এরপরও কিছু রশ্মি বা বস্তুকণা পৃথিবীর চৌম্বকত্বকে অগ্রাহ্য করে ছুটে আসে বায়ুমন্ডলের দিকে। বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করার সাথে সাথেই রশ্মিগুলো বিষোশিত হয়ে পড়ে, ফলে জীবমন্ডলের উপরে অভিশপ্ত রশ্মিগুলো প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয়। বায়ুমন্ডল স্রষ্টার এমন এক অপূর্ব সৃষ্টি যা জীবমন্ডলের জন্য কল্যাণকর, তা পৃথিবীতে অনুমোদন সাপেক্ষে ক্ষতিকারক বস্তুগুলো প্রবেশের অধিকার বানচাল করার ক্ষমতা রাখে ফলে ক্ষতিকারক মহাজাগতিক রশ্মিগুলোর প্রভাব থেকে জীবমন্ডল নিরাপদে থাকে।
স্রষ্টার এই সমন্বয় ও প্রতিরোধ্যতার নিখুঁত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পৃথিবী জোড়া বিরাজ করছে। এই নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার নিরীখে জ্ঞানী মানবের অনেক শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে, যা জীবনের মতই দৃশ্যমান সত্য বলে প্রত্যক্ষ করতে পারলেই মানব সমগ্র বিশ্বকে সুন্দরভাবে গড়তে সক্ষম হবে।
জনসচতেনতায় কছিু কথা
বশ্বিব্যাপী চলছে মরণ ব্যাধি করনো। এই করোনাকালীন সময়ে আমরা হারয়িছেি অগণতি বুদ্ধজিীবী, আলোকর্বতকিা। এ ছাড়াও প্রায় অনকেরেই স্বজন-প্রয়িজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে চরি বদিায় নয়িছেনে। সবার আত্মার শান্তি ও জান্নাতবাস কামনা করে তাঁদরে স্বজন-প্রয়িজনদরে প্রতি সমবদেনা জ্ঞাপন করছ।ি
সইে সাথে সকলরে প্রতি আন্তরকি অনুরোধ করোনাকে অবহলো করবনে না, স্বাস্থ্যবধিি মনেে চলুন, নয়িমতি মাস্ক ব্যবহার ও সাবান, স্যানটিাইজার, হ্যান্ডওয়াস ব্যবহারে সচতেন হোন। নজিে স্স্থু থাকুন, পরবিার প্রয়িজনদরে তথা দশে ও জাতকি সুস্থ রাখুন।
আগস্ট মাস বাঙালি জাতরি শোকরে মাস। হাজার বছররে শ্রষ্ঠে বাঙালি বঙ্গবন্ধু শখে মুজবিুর রহমান স্বপরবিারে শাহাদৎ বরণ করনে। বশ্বিকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও বাংলাদশেরে অন্যতম প্রধান কবি শামসুর রাহমান সহ কয়কেজন কৃতি মানুষকে আমরা হারয়িছে।ি আসুন আমরা স্বজন-প্রয়িজন সহ প্রতবিশেীদরে সাথে মানবকি দায়ত্বি সমানভাগে ভাগ করে নয়িে করোনাকালীন এই ভয়াবহ সময়ে মানবতার জয়গান গয়েে মহান সৃষ্টর্কিতার কাছে ক্ষমা ও সুস্থ নরিোগ পৃথবিী কামনা কর।ি শোকরে মাসে আমরা যমেন শোককে শক্ততিে রূপান্তরতি করে পথ চলছি তমেনি আগামী প্রজন্ম যনে সুন্দর ও বাসযোগ্য একটি পৃথবিী উপহার পায় এটাই হোক আমাদরে এবারে করোনা মোকাবলোয় সচতেন বাঙালরি সম্মলিতি র্প্রাথনা।
মাসকি অনন্য কথা প্রকাশনায় যারা লখো পাঠয়িে পত্রকিাটকিে সমৃদ্ধ করছেনে সকলরে প্রতি রইলো আন্তরকি কৃতজ্ঞতা। আপনাদরে সবার সুস্বাস্থ্য ও র্সাবকি কল্যাণ কামনা কর।ি
-সম্পাদক, অনন্য কথা