ওহে! কোঁকড়া চুলের বাবড়ি দোলানো দুখু মিয়া নজরুল
বিভোর করিলে গানে- গজলে হয়ে যেন বুলবুল।
তাপদাহে জ্যৈষ্ঠ দিনের ঝাঁঝালো বেলায় তোমার জন্মদিন
চল চল বলে তারুণ্যের মাঝে বাজালে রণের বীণ।
আট বছরে পিতা হারিয়ে নাম নিলে দুখু মিয়া
আলোক দিল ভূবন মাঝে তোমার সকল ক্রিয়া।
শত মহিমায় সমুজ্জ্বল কবি তোমার জীবনখানি
ধরা যুগ যুগ ধরে রাখবে স্মরণ ভুলবে না কভু জানি।
অন্যায়ের সাথে আপোষ করতে পারোনি কোনকালে
জড়ালে তাই ধরার মাঝে বিদ্রোহী নামের জালে।
ধূমকেতু হয়ে আসলে তুমি বাংলার ভাগ্যাকাশে
বাইশ বছরে লিখেছো যাহা রবে তা মোদের পাশে।
গল্প- গান- নাটক- কবিতা কত রচিলে প্রহসন,
অগ্নিবীণা বিষের বাঁশি দোলনচাঁপা সবি করিলে আহরণ।
সৈনিক তুমি কালির স্রোতে তাদের দিয়েছো ভাসি
অন্যায় আর জুলুম যারা করতো রাশি রাশি।
স্মরিগো তোমায় কালজয়ী ওগো জাতীয় কবি
যুগ-যুগান্তর লেখনীতে হলে জ্যোর্তিময় রবি।
কষ্টের সাথে লড়াই করেছো সয়েছো ক্ষুধার জ্বালা
তাই বুঝি খোদা তোমাকে দিয়ে সৃজিলেন যত মালা।
সব পেলে কি গো এমন করে হতে বড় এক কবি
না পাওয়ার ব্যথা বোঝে সেকি বলো, দিয়ে দাও যদি সবি।
আঁধারে ডুবে আঁধারের সাথে বাস না করিল যে জন
আলোরে কভু কি আঁধার থেকে পৃথক করিবে সে জন?
আরও কিছুটা সময় যদি থাকতে লেখার মাঝে
কত বেদনার সুখ-গাঁথা হতো সকাল-দুপুর-সাঁঝে।
শরৎকালের মেঘের ভেলায় ভেসে-ভেসে গেলে চলে
চৌদ্দই ভাদ্র বিদায়ের কালে কাউকে কিছু না বলে।
ঢাকা মসজিদেরই পাশে তোমার কবর রয়েছে ঠাঁই
তুমি গোরে থেকেও মুয়াজ্জিনের আযান শুনবে তাই।