ডিজিটাল ডেস্ক: শাড়ি (ঝধৎবব) পরতে ভালবাসেন অনেকেই। স্রেফ ঝক্কির কথা ভেবে তন্বীরা সেই পোশাক খানিক এড়িয়েই যান। ঝোঁকেন পাশ্চাত্য পোশাকের দিকে। তাই তো অফিস হোক কিংবা কোনও কাজে বেরনোর সময় জিন্সই পরে নেন তাঁরা। কারণ, ভিড় বাস, ট্রেন অথবা মেট্রোয় ওঠার সময় সঙ্গে ব্যাগ না থাকলে হাতে থাকা স্মার্টফোন সহজেই পকেটে রাখা যেতে পারে। তবে শাড়িতে সেই বন্দোবস্ত নেই। তাই তো রোজকার পোশাকের দৌড়ে বেশ খানিকটা পিছিয়ে শাড়ি। তবে শাড়িতেই যদি পকেটের ব্যবস্থা করা যায়, তবে কেমন হয় বলুন তো। ভাবছেন সে আবার হয় নাকি। তেমন শাড়ি কোথায় কিনতে পাবেন, তা নিয়েও নিশ্চয়ই ভাবনা চিন্তা করছেন। ভ্রূ কুঁচকে দুশ্চিন্তা ছাড়–ন। বরং সহজ কৌশলে নিজেই প্রিয় শাড়িতে বানিয়ে ফেলুন পকেট।
হাতের কাছে কিছু টুকরো কাপড় আর সূঁচ, সুতো থাকলেই ফ্যাশনের নয়া ট্রেন্ডে গা ভাসাতে পারেন আপনিও। ধরুন আপনার শাড়িটি লাল রঙের। তার সঙ্গে মানানসই যে কোনও রঙের কাপড় নিন। শাড়িটি একবার পরে ফেলুন। এবার কুঁচির পাশে কোমরের অংশটি চক দিয়ে চিহ্নিত করে নিন। কারণ, কোমরের কাছে পকেট (চড়পশবঃ) থাকলে আপনারও মোবাইল-সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র রাখতে সুবিধা হবে। এবার শাড়ি খুলে ফেলুন। অন্য একটি কাপড়েরটুকরোকে যেকোনও মাপে পকেটের আকারে কেটে নিন। আপনার পছন্দ এবং প্রয়োজনই এক্ষেত্রে শেষ কথা। এবার পালা সেলাইয়ের। চিহ্নিত করা ওই অংশে টুকরো কাপড়টি কীভাবে বসাবেন, তা স্থির করুন। পরবর্তী ধাপে সূঁচ, সুতো দিয়ে ওই টুকরো কাপড়টি আপনার শাড়িতে লাগিয়ে নিন। এবার দেখুন তো শাড়ি একেবারে অন্যরকম হয়ে গিয়েছে না!
আর কোনও ঝক্কি নেই। যেকোনও জায়গায় পকেট শাড়ি পরে বেরিয়ে পরুন। হাত ফাঁকা রাখতে চাইলে পকেটেই রাখুন দরকারি জিনিসপত্র। এই ধরনের শাড়ি পরে বেরলে যে আপনার দিকে সকলেই দু’একবার তাকাবে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আপনার স্টাইল অনেকে নকলও করতে পারেন। আবার মুহূর্তের মধ্যেই আপনি চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতেও চলে আসতে পারেন। করোনাকালে বাইরে বেরনোর জো নেই। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাকি সময় ঘরে বসেই কাটছে। তাই ফাঁকা সময় কাজে লাগিয়ে আজই শাড়িতে বানিয়ে ফেলুন পকেট। তবে খাটুনি করতে না চাইলে অনলাইনেও অনায়াসে পকেট দেওয়া শাড়ি কিনতে পারেন। যেভাবেই হোক না কেন গা ভাসান ফ্যাশনের নয়া ট্রেন্ডে। কে বলতে পারে বিশেষ ধরণের এই শাড়ির জন্যই হয়তো আপনি কারও ঈর্ষার কারণ হয়ে উঠলেন।