• Thu. Nov 21st, 2024

বাংলা সিনেমার সোনালী অতীত এবং বর্তমান — এসএম আলাউদ্দিন

দিন দিন চলচ্চিত্র বিলিনের পথে যাচ্ছে। আগের দিনের চলচ্চিত্র আর বর্তমানের চলচ্চিত্র রাত দিন তফাৎ। ঈদকে সামনে নিয়ে নতুন ছবির একটা প্রভাব ছিল চলচ্চিত্র প্রেমীদের মধ্যে। যা এখন আর বিদ্যমান দেখা যায় না। চলচ্চিত্র এক প্রকার শিল্প। আবার যোগাযোগের অন্যতম শক্তিশালী মাধ্যম চলচ্চিত্র। মানুষকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে সিনেমার বিকল্প নেই। সিনেমা যেমন মানুষকে নির্মল বিনোদন দেয়, তেমনি জ্ঞান, চিন্তাচেতনা ও জানার জগতকে প্রসারিত করে। গতিশীল সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণ, সামাজিকীকরণ, নীতি নৈতিকতাবোধ জাগ্রত করা, মানুষকে উজ্জীবিত করা, সত্য সুন্দর প্রকাশে চলচ্চিত্রের অবদান অসামান্য। গতিই জীবন, স্থিতিই মৃত্যু এ সুবাদে সময়ের পরিবর্তনে চলচ্চিত্র জগতে এসেছে নানা পরিবর্তন। সংযোজন এবং বিয়োজন হয়েছে অনেক কিছুই। বদলে গেছে সিনেমার কাহিনী, যান্ত্রিক দিক, নান্দনিকতা, বাণিজ্যিক প্রেক্ষাপট, দর্শকের ধরন, শিল্পী এবং কলাকুশলীসহ অনেক কিছুই। প্রশ্ন হল চলচ্চিত্রে শিল্প কি? দৃশ্য বা অদৃশ্য কোন ভাবরূপ শিল্পীর মনে নবরূপায়িত হয়ে যে গতিশীল রূপ প্রকাশ ঘটায় তাই হলো শিল্প। তাহলে আমাদের দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতারা শুধু কি দৃশ্য ভাবরূপ দেখেন। মানুষেরে মনে অদৃশ্য ভাবরূপ নবচেতা ঘটায় নির্মাতারা ভাবেন না! যদি তারা ভাবতেন তবে বাংলা সিনোমার এই দশা হয়ত হত না। একটি জনগোষ্ঠীর সমাজ, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সামাজিক রীতি-নীতি, উৎসব, আচার-অনুষ্ঠান, রাজনীতি, ধর্ম ও দর্শন চলচ্চিত্রের সাথে জড়িত থাকে। যে সংস্কৃতিতে সিনেমাটি নির্মিত হয় তা প্রতিনিধিত্ব করে সেই সমাজটিকে। তাই তো সিনেমাকে শিল্প কলার প্রভাবশালী বিনোদন মাধ্যম। কিন্তু আমাদের বর্তমান সময়ের সিনেমা সমাজ ও সংস্কৃতির কথা বলে কি?
একটি সমাজের সঙ্গতি ও অসঙ্গতি দিক সিনেমার গল্পে বহিঃপ্রকাশ ঘটানো আবশ্যক। তাই তো বাংলা সিনেমা আজ জনসর্মথন এবং আবেদন দিন দিন হারিয়ে রিক্ত ও শূণ্য প্রায়। অথচ বাংলা সিনোমার এক সময় ছিল নিজস্ব ভাবধারা। যা স্বীয় বৈশিষ্ট্যৈ ছিল বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। তখনকার সময়কে বলা হত বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগ। সেই যুগে বাংলা সিনেমার উজ্জ্বলতম নক্ষত্র ছিল- উত্তম, সৌমিত্র, অনিল, সুচিত্রা, সুপ্রিয়া, মাধবী, সন্ধ্যার মত অভিনেতা অভিনেত্রীরা। মনে হত পৃথিবীতে কোথাও এমন অভিনেতা অভিনেত্রীরা নেই। সে যুগে স্কুল পালিয়ে ম্যাটিনী শোতে ‘প্রথম কদম ফুল’ সিনেমা দেখে বাস্তব জীবনেও প্রথম কদম ফুল ফুটত। সপ্তপদী সিনেমার এই পথ যদি না শেষ হয় গানটি গাইলেই নিজের প্রেমিকার মাঝে ‘রীনা ব্রাউন’ এর চেহারা খুঁজে পাওয়া যেত।শুধু তাই নয় সে যুগে নির্মিত হয়েছিল পথের পাঁচালি (১৯৫৫), গুপী গাইন বাঘা বাইন (১৯৬৯), জীবন থেকে নেয়া (১৯৭০), অরণ্যের দিন রাত্রি (১৯৭০), হীরক রাজার দেশে (১৯৮০), নায়ক (১৯৬৬), অপুর সংসার (১৯৫৯), অশনি সংকেত (১৯৭৩), চারুলতা (১৯৬৪), জন অরণ্য (১৯৭৬) মত উল্লেখযোগ্য অসংখ্য বাস্তববাদী চলচ্চিত্র। । সামজিক বিষয়কে অবলম্বন করে নির্মিত এই চলচ্চিত্রগুলো নির্মাণ-কুশলতায় বিশেষ মর্যাদা লাভ করেছে। পরবর্তী সময়েও এসে বেশ কয়েকটি সিনেমা মানুষের মন কেড়েছিলেন। তন্মধ্যে অন্যতম জহির রায়হানের ‘হাজার বছর ধরে’, হুমায়ূন আহমেদের ‘ঘেটুপুত্র কমলা’, ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, চাষী নজরুল ইসলামের ‘হাসন রাজা’, ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’, তানভীর মোকাম্মেলের ‘লালন’, মোরশেদুল ইসলামের ‘দুখাই’, ‘লালসালু’, আখতারুজ্জামানের পোকামাকড়ের ঘরবসতি’, তারেক মাসুদের ‘মাটির ময়না’, কাজী মোরশেদের ‘ঘানি’ (২০০৮) উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। এ সকল সিনেমায় স্থান পেয়েছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের করুণ চিত্র, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী দুর্ভিক্ষের সময়কালের তীব্র খাদ্যাভাবের অসহনীয় পরিস্থিতি,বাঙালির চিরাচয়িত ইতিহাস, ঐতিহ্য, ধর্মীয় চেতনা, লোকজ জীবনধারা, গ্রামীন মানুষের দুঃখ দুর্দশা, ধর্মীয় কুসষ্কার। যা আজও এমন শিক্ষা দেয় যার প্রভাব সারাটি জীবন আমাদের মনে নাড়া দেয়। কিন্তু সত্তরের দশকের পরে আমাদের চলচ্চিত্রের উপর যে আঘাতটি আসে তা হল মারপিট ও মারদাঙ্গা। যার সূত্রপাত ঘটেছিল ‘রংবাজ’ (১৯৯৩) সিনেমাটির হাত ধরে। শুরু হল গল্প চুরির অবাধ স্বাধীনতা, যে স্বাধীনতা আজও বাংলা সিনেমার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। অনুকরণ প্রথা যে ষাটের দশকেও ছিল না তা নয়। তবে সে অনুকরণ ছিল ছবির নায়ক নায়িকার স্বল্প সংলাপ। এ পার বাংলায় রাজ্জাককে দেখা যেতো উত্তম কুমারের অনুকরণে চুলের বিন্যাস করতে। সুচিত্রা সেনের সাজসজ্জ্বার অনুকরণে ছিল আমাদের নায়িকার সাজ। যা ছিল শুধুমাত্র বহিরঙ্গের অনুকরণ। না ছিল অভিনয়ে মার্ধুয্য, না ছিল কোন শিল্প। তবে এখন এমন সিনেমা তৈরি হচ্ছে না, তা নয়। সামাজিক সিনেমা অনেকটাই কম, নেই বললেই চলে। আধুনিক যুগে পিছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই। তবে বাংলা সিনেমার সোনালী অতীতকে কোনভাবেই আড়াল করে রাখার সুযোগ নেই। বর্তমানে চলচ্চিত্র অঙ্গনে যতই পরিবর্তন আসুক না কেন, সোনালী দিনের সেই সিনেমাগুলোকে অতিক্রম করতে পারবে না। সেকালে এতো ডিজিটাল চাকচিক্য, আলো, আধুনিক সরঞ্জামের ব্যবহার ছিল না। ছিল সমাজ থেকে নেয়া সুন্দর জীবন ও বাস্তবধর্মী গল্পপট, অসাধারণ গান, সুর, মনোমুদ্ধকর অভিনয়, প্রাকৃতিক দৃশ্যপট, অকৃত্রিম নান্দনিকতা।যা বর্তমানে খুঁজে পাওয়া বড়ই দুষ্কর। সে সময় আমরা কিছু সৃজনশীল মানুষকে পেয়েছিলাম, যাদের হাতে তৈরি হয় বিখ্যাত সব সিনেমা। জহির রায়হানের জীবন থেকে নেয়া (১৯৭০), আলমগীর কবিরের সীমানা পেরিয়ে (১৯৭৭), আজিজুর রহমানে ছুটির ঘণ্টা (১৯৮০), ঋত্বিক ঘটকের তিতাস একটি নদীর নাম (১৯৭৩), তানভীর মোকাম্মেলের চিত্রা নদীর পাড়ে (১৯৯৯), খান আতাউর রহমানের নবাব সিরাজউদ্দৌলা (১৯৬৭), তোজাম্মেল হক বকুলের বেদের মেয়ে জোসনা (১৯৮৯), দীলিপ সোমের সাত ভাই চম্পা (১৯৬৮), আলমগীর কবিরের রূপালী সৈকত (১৯৭৯), চাষী নজরুল ইসলামের ওরা এগারো জন (১৯৭২), হুমায়ুন আহমদের আশুনের পরশমনি (১৯৯৫), আব্দুল্লাহ আল মামুনের সারেং বউ (১৯৭৮) সহ অসংখ্য চলচ্চিত্র। কালোত্তীর্ণ এই সব চলচ্চিত্র ব্যাপক দর্শক জনপ্রিয়তা এবং ব্যবসায়ীক সফলতা অর্জন করেছিল। চলচ্চিত্রগুলোর কাহিনী, দৃশ্যপট, গান বলতে গেলে সব কিছুতেই ছিল অসাধারণ নান্দনিকতা। যা আজও স্বরণ মনে দাগ কাটে। এসব সিনেমার মধ্যে বেদের মেয়ে জোসনা সব চেয়ে বেশী ব্যাবসায় সফল হয়। তবে এখন এমন সিনেমা তৈরি হচ্ছে না। নেই বললেই চলে। চলচ্চিত্র সমাজের দর্পণ। সে দর্পণে ফুটে ওঠে সেই সমাজের সার্বিক চিত্র। বর্তমানে অতি তৈরী হওয়া বাণিজ্যনির্ভর কিছু সিনেমার কাহিনী কৃত্রিম। বাস্তবতার সাথে খুব একটা মিল নেই। দর্শকের মনোজগতে এসব সিনেমার কোন পভাব ফেলে না। নেই সত্যজিৎ রায়ের পথের পাচালির মতো জীবনধর্মী কাহিনী। কিংবা ঋত্বিক ঘটকের মেঘে ঢাকা তারার মতো অসাধারণ গল্প। সেকালের কলকাতার বাংলা ছায়াছবির নায়ক-নায়িকা উত্তম কুমার-সুচিত্রা সেন শুধুমাত্র রোমান্টিক চরিত্রে অভিনয় করে আপামর বাংলা সিনেমা দর্শকের হৃদয় ছুঁয়েছিলেন। নায়ক রাজ রাজ্জাক, ফারুক, ইলিয়াস কাঞ্চন, জসীম, আলমগীর, বুলবুল আহমেদ, জাফর ইকবাল, শাবানা, অঞ্জু ঘোষ, ববিতা, কবরী, সুচন্দা, সালমান শাহ, ওমর সানী, সোহেল রানা, নাঈম, শাবনাজ, ওয়াসিম, উজ্জলের মতো অভিনেতা অভিনেত্রীর জনপ্রিয়তা আকাশ ছোঁয়া পেয়েছিলেন। কিন্ত বর্তমানে তেমন কোন সাড়া জাগানো সিনেমা তৈরী হচ্ছে না। দুই চারটা সিনেমায় অভিনয় করছেন নায়ক সাকিব খান। কিন্ত সেই সিনেমাগুলোও তেমন মানুষের মনে আগের মতো দাগ কাটছে না। তাদের অভিনয়ের জন্য দর্শক কয়েকবার সিনেমা হলে প্রবেশ করেছে। তাদের অভিনয় ছিল মনোমুগ্ধকর। সিনেমার গানগুলোতে ছিল অসাধারণ কথা, সুর ও সঙ্গীত। গানের ভিডিও ছিল প্রাকৃতিক সব দৃশ্য। গানকে কেন্দ্র করেই সিনেমাগুলো জনপ্রিয়তার শীর্ষে। বর্তমান সিনেমাগুলোতে গ্রাম, নদী, মুক্ত আকাশ তথা প্রকৃতির সৌন্দর্যের চেয়ে কৃত্রিমতায় বেশি। অথচ পুরাতন সিনেমাগুলো ছিল প্রাকৃতিক দৃশ্যে ভরপুর। ভালো সিনেমা দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে ভূমিকা রাখে, একই সাথে বিশ্বদরবারে দেশের প্রতিনিধিত্ব করে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প যে আজ ঝিমিয়ে পড়েছে সিনেমা হলগুলোর রুগ্ন চেহারা দেখলে তা সহজেই অনুমান করা যায়। অধিকাংশ দর্শক চলচ্চিত্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। ঢাকা শহরের নামি-দামি সিনেমা হলে এখন
আর দর্শক সমাগম নেই। বন্ধ হয়ে গেছে অনেক হল।অথচ ষাট-সত্তরের দশকে বাংলা সিনেমার কী এক সুবর্ণ সময় ছিল। এখন সময় এসেছে চলচ্চিত্র শিল্পের দিকে নজর দেয়ার। আমাদের পাশের দেশ চলচ্চিত্র শিল্পের মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে কিন্তু আমরা মুখ থুবড়ে পড়েছি। চলচ্চিত্র অঙ্গনে সকল অসঙ্গতি, অন্তরায় দূর করে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান কাম্য। ঈদ আর চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে এক যোগসূত্রতা। এই উৎসব আসলেই সরগরম হয়ে উঠে কাকরাইল পাড়া। নতুন নতুন ছবি মুক্তির জন্য চলে জোর প্রস্তুতি। ঈদ মূলত তারকাবহুল ছবি। রোজার কয়েকমাস আগ থেকেই জল্পনা শুরু হয় ঈদে কি সিনেমা, , কোন তারকার সিনেমা আসছে এই নিয়ে। এর আগে ঈদের ছবি ‘লড়াকু’ নিয়েই চলচ্চিত্রে এসেছিলেন হিট নায়ক রুবেল। এমনকি চলচ্চিত্রের অমর নায়ক সালমান শাহ, চিত্র নায়ক রিয়াজ, চিত্রনায়িকা মৌসুমি, সোনিয়াদেরও আগমন ঘটেছে ঈদের সিনেমা দিয়ে। তাছাড়া একসময় ঈদের ছবির মাঝে নিয়মিত থাকতেন রাজ্জাক, জসিম, আলমগীর, সোহেল রানা, রুবেল, মান্না ও ইলিয়াস কাঞ্চন। পরিচালকদের মধ্যে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, শহিদুল ইসলাম খোকন, শিবলি সাদিক, মোতালেব হোসেন, মনোয়ার খোকন, মমতাজুর রহমান আকবর, দেওয়ান নজরুল, সোহানুর রহমান সোহান, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, আমজাদ হোসেন, এ জে মিন্টু’র মতো বাঘা বাঘা সব পরিচালকদের ছবি নিয়মিত থাকতো এই ধরণের উৎসবে। নবীন প্রবীণ সেরা পরিচালকদের দারুন সব ছবি দেখার জন্য প্রতিটি সিনেমা হলে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় লেগেই থাকতো ওই সময়। ওই সময় ব্লাকে টিকেট কিনতে হতো সাধারণ দর্শকদের। তাদের কাছ থেকে ১০ গুন বেশি দিয়ে টিকিট কিনত সিনেমাপ্রেমিরা। যা আজ শুধুই রুপকথার গল্পের মতো মনে হবে। তাছাড়া ঈদে সম্ভাব্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলো নিয়ে বাংলাদেশ বেতারে প্রচার হত দারুণ সব অনুষ্ঠান। ছবি দেখার আগে মানুষের গান মুখস্থ করাতো এই মাধ্যম। প্রতি ছবির আলাদা আলাদা বিজ্ঞাপনধর্মী বিশেষ অনুষ্ঠানমালা থাকতো ১০ মিনিটের। বিটিভিতে হতো ঈদের সিনেমা নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান। এদিকে ওই সময় হলগুলো নতুন করে সাজানো হতো, মাইকিং চলতো ঈদের আগের দিন পর্যন্ত। কিন্তু আজো সেই ঈদ আসে ঈদ যায়। তবে সেদিনের মতো কোন উৎসব এখন আর চোখে পড়ে না। এফডিসি বা চলচ্চিত্র পাড়াতেও এখন তেমন কোন পোস্টার দেখা যায় না। আজ আর নেই ওই ধরণের পরিচালকরা, যারা দর্শকদের কথা মাথায় রেখে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *