• Thu. Nov 21st, 2024

বাজেট, গণতান্ত্রিক ভাবনা ও জনগণের অংশগ্রহণ (নরেশ মধু)

দৈনন্দিন জীবনের খুঁটি-নাটি আয়-ব্যয় নিয়েই আমাদের পথ চলা। এই আয় ব্যয় যেমন পরিবারের হয় তেমনি একটি রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য আয়-ব্যয়ের প্রয়োজন। সংসারের আয় ব্যয় নিয়ে ভাবলেও রাষ্ট্রের আয় ব্যয়ের হিসাব নিয়ে কখনই সাধারণ মানুষ ভাবতেন না। মোটা কাপড় মোটা ভাত দ’ুবেলা এবং হেসে খেলে দিন যাপন হলেই কেউ এ নিয়ে ভাবতেন না। অনেকেই জানতেন না বাজেট কি এবং কিভাবে বাজেট প্রণয়ন করা হয়। অবশ্য বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়া এখনও বেশীরভাগ মানুষ জানেন না। যারা মোটা-মুটি একটু সচেতন তারা জানেন বাজটের দু’টো ভাগ থাকে, একটি রাজস্ব এবং অন্যটি উন্নয়ন খাত। রাজস্ব খাতের বাজেট সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা এবং প্রশাসনিক কাজ করতে যা প্রয়োজন সেটাই রাজস্ব খাত। আর বাকী যা দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সহ বিভিন্ন প্রকল্প যা জনগণের ভাল থাকা এবং ভাল দিন যাপনের জন্য ব্যয় করা হয়। বাৎসরিক উন্নয়ন বাজেট এটি আনুমানিক বাজেট। অর্থাৎ সরকার কি কি প্রকল্প গ্রহণ করবেন তার একটি ব্যায় নিয়ে উন্নয়নমূলক বাজেট হয়। উন্নয়ন বাজেট প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এবং স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো হলে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের ফলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় ও অর্থপ্রবাহ বৃদ্ধি পায়। একসময় ছিল যখন উন্নয়ন বাজেটের পুরোটাই যোগান দেয়া হতো বৈদেশিক ঋণ ও সহায়তা থেকে আর অনুন্নয়ন বাজেটের খরচ চালানো হতো সরকারের আদায়কৃত রাজস্ব থেকে।

আামার আলোচ্য বিষয় বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়া নিয়ে। যেখানে নির্বাচিত তথা গণতান্ত্রিক সরকার রয়েছে সেখানে জাতীয় বাজেটও যে গণতান্ত্রিক হিসেবে বিবেচিত হবে  এমনটি ভাবাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের সরকারের প্রাত্যহিক ক্রিয়াকর্মে ও উন্নয়ন কর্মসূচিতে জনগণেরঅংশগ্রহণ কতটুকু তা যেমন প্রশ্নের অবকাশ রাখে, তেমনি জাতীয় বাজেট তথা বার্ষিক পরিকল্পনায় জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ কতটুকু তাও ব্যাখ্যার দাবি রাখে। “সারা বিশ্ব জুড়ে জাতীয় বাজেটগুলোর বড়সড় দুটো সীমাবদ্ধতা রয়েছে। প্রথমত, তাদের গণতান্ত্রিক চেহারা থাকা সত্তে¡ও জাতীয় বাজেটগুলো আসলে গুটিকয়েক লোকেরই কাজ। আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্য এবং একটি কঠোর সময়সূচির মধ্যে অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা বিপুল সংখ্যক স্বার্থসংশ্লিষ্ট মহলকে বাজেট প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত ফলাফলে অংশগ্রহণ থেকে সরিয়ে রাখে। যেখানে জনগণ একটি মুখোমুখি সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারে সেখানে একটি জাতীয় বাজেট হচ্ছে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের সম্পূর্ণ বিপরীত”। আমরা দেখছি যে, সরকার গঠন করতে প্রতি পাঁচ বছরে একবার ভোটাধিকার প্রয়োগ করা আর ক্ষেত্রবিশেষে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন ছাড়া সাধারণ মানুষের মতামত বা রায় দেয়ার জন্য আর কোন জায়গা নেই। উন্নয়ন সংগঠন ও নাগরিক সমাজের দীর্ঘদিনের দাবির ফলে ইদানিং যদিও কোন কোন ক্ষেত্রে সাধারন জনগণের অংশগ্রহণের সুযোগ মেলে কিছু নীতি নির্ধারণী বিষয়ে, কিন্তু প্রকৃত অর্থে তা জনগণকে ক্ষমতায়িত করে না বা জনগণের অংশগ্রহণকে নিশ্চিত করেনা।

বাজেটকে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক করতে হলে জনগণের শুধু মতামতই যথেষ্ট নয়; সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া, কর্মসূচি বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নে তার কার্যকর উপস্থিতি দরকার। সুতরাং তাত্তি¡ক ও প্রায়োগিক অর্থে আমাদের জাতীয় বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়া কোনভাবেই জনঅংশগ্রহণমূলক নয়। কেউ কেউ বলতেই পারেন, তাহলে সংসদ সদস্যরা জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে বাজেট প্রক্রিয়ায় অংশ নিলে তা কেন গণতান্ত্রিক হবে না? এইজন্য গণতান্ত্রিক নয় যে ওয়েস্ট মিনিস্টার ধাঁচের সংসদীয় পদ্ধতি আমাদের দেশে কার্যকর কোন ভূমিকারাখতে পারেনি, যার ফলে জাতীয় সংসদে জনগণের সমস্যা ও অগ্রাধিকার নিয়ে কার্যকর কোন আলোচনা হয়না বললেই চলে। অর্থাৎ সংসদ সদস্যরা জনগণের মখপাত্র হিসেবে কার্যকর কোন ভূমিকা রাখতে পারছেন না। দ্বিতীয়তঃ বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় সংসদ সদস্যদের বা সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলোর কোন আনুষ্ঠানিক ভূমিকা নেই।

বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় প্রথম দফায় মোটা দাগের এই বাজেট পরিকল্পনার পর অর্থবিভাগ ও প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়েরগুলোর মধ্যে আলাপ আলোচনা হয়, তারপর মন্ত্রণালয়ের ব্যয়সীমা পুনঃনির্ধারণ করা হয়ে থাকে। মন্ত্রণালয়গুলো আবার তাদের অধীনস্থ বিভিন্ন দপ্তর, অধিদপ্তর, বিভাগ ইত্যাদির জন্য ব্যয়সীমা নির্ধারণ করে দেয় এবং তার ভিত্তিতে বাজেট প্রাক্কলন তৈরী করতে বলে। বাজেট কাঠামোর বড় অংশই সম্পন্ন করা হয় সম্পদ কমিটির বৈঠকের মাধ্যমে। অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ কমিটির সদস্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সবিচ ও শীর্ষ কর্মকর্তারা রয়েছেন। এপ্রিলের শুরুতেই এ কমিটির বৈঠক হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ কমিটির কিছু সদস্য বৈঠক করে বাজেট কাঠামো চূড়ান্ত করেন।

বাজেট প্রণয়নের চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজটি শুরু হয় মে থেকে। ওই সময়ে হিসাব-নিকাশ শুরু করা হয়। এ  পর্যায়ের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার, প্রবৃদ্ধির হার, মূল্যস্ফীতির হার, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আকার এগুলো নির্ধারিত হয়ে যায়। ওই সময়েই অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতার কাজ তৈরি হয়। এর প্রথম অংশটি করে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং দ্বিতীয় অংশটি করে এনবিআর। প্রথম অংশের বাজেট বক্তৃতা তৈরির জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সেগুলো সমন্বয় করে অর্থ মন্ত্রণালয়। আর দ্বিতীয় অংশটুকু করে এনবিআর। তবে সবকিছুর দিকনির্দেশনা নেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে।

মে মাসের মধ্যে বাজেটের সব কাজ চূড়ান্ত হয়ে যায়।অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করার আগে সংসদেই মন্ত্রি পরিষদের একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে বাজেট অনুমোদন করা হয়। বাজেট পেশের ১-২ দিন আগে ছাপানোর জন্য সরকারি প্রেসে যায়। পরে সংসদে তা উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। সংসদে প্রস্তাবিত আকারে বাজেট পেশ করা হয়। এরপর থেকে চলে আলোচনা। দীর্ঘ প্রায় তিন সপ্তাহ আলোচনার পর এটি সংসদে পাস করা হয়। তখন এটি হয় চূড়ান্ত বাজেট। যা প্রতিবছর ৩০ জুন পাস করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় সাধারণ জনগণের মতামত বা আঞ্চলিকতাকে বিবেচনায় কখনই নেয়ার সুযোগ নেই । 

বাজেট ঘোষণার পর সরকারি দলপন্থীদের গতানুগতিক অভিনন্দন বাণী আর বিরোধী দলের ঢালাও প্রত্যাখ্যানের মিছিল রাজপথ আর পত্রিকার পাতা অলংকৃত করতো। নব্বইয় দশক পরবর্তী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় উত্তোরণের বিভিন্ন পর্যায়ে জাতীয় বাজেটকে কেন্দ্র করে পেশাজীবি, বুদ্ধিজীবী, বেসরকারি সংস্থা ও নাগরিক সমাজের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হওয়ায় বাজেটকে কেন্দ্র করে নতুন আলোচনা তৈরির পথ প্রশস্ত হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় এখন প্রাক-বাজেট আলোচনা ও বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষকে সম্পৃক্ত হতে দেখা যাচ্ছে। নারীর বাজেট, কৃষকের বাজেট, প্রতিবন্ধীর বাজেট ইত্যাদি নির্দিষ্ট খাতভিত্তিক বাজেট প্রস্তাবনা করা হচ্ছে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে, মূলতঃ খাতভিত্তিক বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি এসব আলোচনার মূল সুর।

সম্প্রতি বভিন্ন জেলায় জেলায় বাজেট নিয়ে আঞ্চলিক দাবিগুলোকে কেন্দ্রের কাছে পৌছে দেবার জন্য গোল টেবিল বৈঠকসহ বিভন্ন কর্সসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে গত ১৪ মে ‘প্রেক্ষিত পাবনার বাজেট ভাবনা‘ শীর্ষক আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বাজেট ওয়াল উন্মোচন করা হয়েছে। 

খোলা আকাশের নিচে আব্দুল হামিদ রোডের সাংস্কৃতিকচত্বরে গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন ও এসপিএস এর আয়োজনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। পাবনা জেলা কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ জাফর সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, সম্মানিত অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালো, প্রেসক্লাব সভাপতি প্রফেসর শিবজিত নাগ, চেম্বরারের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম মুকুল, সরকারি এডওর্য়াড কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. প্রফেসর শওকত আলী খান, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসপিএস এর নির্বাহী পরিচালক ও গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের সদস্য সচিব নরেশ মধু। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি কামাল আহমেদ সিদ্দিকী, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরামের সভাপতি ও সেলিম নাজির উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার রোজী, প্রত্যাশার নিবার্হী পরিচালক আব্দুল বাতেন রুশদী , পাবনা এডাবের সাধারন সম্পাদক নাসরীন পারভীন, সাংস্কৃতি সংগঠক ও বাজেট আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক ভাস্কর চৌধুরী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি প্রবীর কুমার সাহা প্রমুখ। অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ নিম্নলিখিত দাবিগুলোর প্রতি সহমত পোষণ করেন এবং দাবি বাস্তবায়নের জন্য তাদের সার্বিক সহযোগিতার প্রতিশ্র“তি ব্যক্ত করেন। 

     পাবনার উন্নয়নের লক্ষ্যে আলোচকরা জেলায় শিশুদের বিনোদন কেন্দ্র, ইছামতি নদী সচল, যানজটমুক্ত পাবনা, ঐতিহ্য সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও উন্নয়ন, কৃষি কলেজ ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, ফল ও সব্জি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণে হিমাগার স্থাপন, ভূগর্ভস্থপানি কমে যাওয়ায় বিশেষ জলাধার নির্মাণ, জলবায়ু ও কৃষি বিষয়ক গবেষণা, নারীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন বিষয়ক বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ, প্রতিবন্ধীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক পুর্নবাসনের জন্য বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ, তাঁত ও হোসিয়ারী শিল্প রক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণ, জেলায় শিল্প কারখানা স্থাপন ও বন্যা ব্যবস্থপনা ও নদী শাসন ব্যবস্থা জোরদার করা সহ বেশকিছু দাবির কথা উলে­খ করেন যা আগামি বাজেটে অর্ন্তভূক্ত করার দাবি রাখেন।  

বাজেট কেন্দ্রিক এই সকল প্রস্তাবনা ও আলোচনার সবই কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদেরকে উদ্দেশ্য করে করা হয়ে থাকে, অথচ এ সকল আলোচনা-প্রস্তাবনা সরকারের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের কাছে পৌঁছায় কিনা তার যথাযথ সন্দেহ মনের মধ্যে রেখেই সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। আর মন্ত্রী মহোদয়দের শীর্ষ ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ছাড়া এত সংখ্যক শ্রেণী পেশার মানুষের দাবি শোনার অবকাশই বা কোথায়! সুতরাং জন আকাক্সক্ষা ও দাবি সরকারের কাছে পৌঁছাতে হলে বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়নকারীকে জনতার কাছাকাছি থাকতে হবে তথা বাজেট প্রক্রিয়ার বিকেন্দ্রীকরণ ও গণতান্ত্রিকরণ করতে হবে। আমাদের স্মরণ রাখা দরকার ভৌগলিকভাবে অবস্থানগত দিক, অঞ্চল ভিত্তিক সমস্যা চিহ্নিত করে প্রতিটি নাগরিক, জাতি গোষ্ঠী ও অঞ্চলের স্বতন্ত্র ও সম্মিলিত উদ্যোগ ছাড়া কোনভাবেই জাতীয় উন্নয়ন তথা দারিদ্র বিমোচন সম্ভব নয়। গণতান্ত্রিক বাজেট প্রক্রিয়াই জনগণের আশা ও আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটে।

-সাংবাদিক, গবেষক ও উন্নয়ন শ্রমিক

সুদক্ষ কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

যাবতীয় কম্পিউটার কম্পোজ, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ফটোসপ, এলাস্টেটর কাজে সুদক্ষ পাবনায় বসবাসরত সুস্থ সুন্দর মনের একজন কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগ করা হবে। পত্রিকা, বই প্রকাশের কাজে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

 বেতন আলোচনা সাপেক্ষ। আগ্রহী প্রার্থী যোগাযোগ করুন।

রূপম প্রকাশনী এন্ড কম্পিউটার, নবাব সিরাজউদ্দৌলা রোড, পাবনা। ফোন: ০১৭১২৫৮৩৩৭০।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *