• Thu. Nov 21st, 2024

’রমজানে নারীর বিশেষ সময়ের ইবাদত

নারীরা রমজানে মাসিক ও প্রসব পরবর্তী স্রাবের কারণে ৩ ধরনের ইবাদত থেকে বঞ্চিত হয়। সেগুলো হলো- নামাজ, রোজা এবং কোরআন তেলাওয়াত। নামাজ তো আল্লাহ মাফ করে দিয়েছেন। রোজা পরবর্তীতে কাজা আদায় করা যাবে। আর কোরআন তেলাওয়াত একটা উত্তম সুন্নত। অনেকেই মন খারাপ করেন ইবাদতগুলো করতে না পারার জন্য। তবে এমন আরও অনেক ইবাদত আছে যা এ সময় নারীরা পালন করতে পারেন।
সেহেরি ও ইফতার বানানোর দায়িত্ব নিয়ে রোজাদারকে ইবাদত করার সুযোগ করে দেয়া। এই সুযোগ করে দেওয়ার ফলে ইবাদতকারীর নেকির অংশীদার তিনিও হবেন, কিন্তু তার সওয়াব একটুও কমবে না।
সারাক্ষণ ইস্তেগফার, তাহমিদ, তাহলিল, তাকবির ও নানান ফজিলতপূর্ণ জিকির করতে পারেন। প্রতিবেশীসহ পথেঘাটের গরিব-মিসকিনদের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে পারেন। যারা রোজা অবস্থায় আছেন, তাদের অন্যান্য কাজগুলো করে দিতে পারেন। বেশি বেশি দান-সদকা করবেন।
কোরআনে কারিমের তাফসির পড়বেন, রাসূলের জীবনী পড়বেন, দ্বীনি কিতাব পরে ইলম অর্জন করবেন। তবে কোনো কিতাবে কোরআনের আয়াত থাকলে ওই জায়গাটা স্পর্শ করা যাবে না।
অনেকে নামাজের সময় বা তারাবি-তাহাজ্জুদের সময় ইবাদতের অভ্যাস চালু রাখতে অজু করে জায়নামাজে বসে জিকির করেন ও দোয়া করেন। এতে কোনো সমস্যা নেই, তা করতেই পারেন।
তবে এতে অজু করা জরুরি নয়, যেহেতু হায়েজ অবস্থায় অজু হয় না। তাই অজু করা না করার মাঝে কোনো তফাৎ নেই। আর হায়েজ অবস্থায় যদি নাপাকি না লাগে তবে জায়নামাজেও বসতে কোনো সমস্যা নেই। শেষ দশ দিনের বিজোড় রাত্রিগুলোয় বেশি বেশি দান-সদকার পাশাপাশি বেশি বেশি দোযা ও জিকির করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *