ফিরে ফিরে আসে কুৎসিত কালো রাত,
প্রতিবার আসে ফিরে।
কতোকাল ঘৃণিত ক্ষতের গ্লানি
বয়ে বেড়াচ্ছি হৃৎপিন্ডে আমার।
পিতার খুনে রাঙানো এই কলঙ্কিত
ইতিহাসের লজ্জা কোথায় লুকাই ?
আজ কতো খেতাব দিচ্ছি আমরাÑ
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা !
অথচ এই আমরাই তাঁকে সমূলে
উৎপাটিত করবার জিঘাংসায়
ভোরের আলো ফুটবার আগেই তাঁর বুকে
স্বয়ংক্রিয় রাইফেল তাক করেছিলাম !
বিকট শব্দ করে গর্জে উঠেছিলো মেশিনগান,
সিঁড়ি বেয়ে তাঁর পবিত্র রক্তধারা
মিশে গিয়েছিলো বঙ্গোপসাগরে।
নীল জল লাল হয়ে উঠেছিলো সেইদিন !
আমরা ভুলিনি সেই মৃত্যুমিছিল !
আমরা ভুলিনি সেই দুঃসহ শোকগাঁথা।
মহিয়সি মাতা ফজিলাতুন্নেছা,
মেহেদি-রাঙানো বধূ সুলতানা কামাল,
তোমার আত্মজ শেখ কামাল,
শেখ জামাল ও ছোট্ট শিশু,
তোমার আদরের ধন শেখ রাসেল !
আর কতো বলবো সে-নাম ?
ধরিত্রীমাতা, আমাকে একটুখানি ঠাঁই দাও !
তুমি দ্বিখণ্ডিত করো তোমাকে !
আমি পাতালে প্রবিষ্ট হই মাতা !
খুনে রাঙা কলঙ্কিত ইতিহাসের এই লজ্জা
কোথায় লুকাই বলো, পিতা ?