অনাবিল পরশে বরেন্দ্রভূমির লাল মাটির সোঁদা গন্ধে
নিভৃত গ্রামীণ পরিবেশ শরৎ শিশিরের মালা পরে
গাঢ় সবুজের কাপড়ে মোড়া লাল দেহখানি চির সবুজ।
কখনো জলসিঁড়ি কখনো ধানসিঁড়ি বেয়ে
ষোড়শী কুমারীর অপরূপ সাজে
পতিত জমিতে আবাদের ভাঁজে
তালে তালে ময়ূরের পায়ে যেন নূপুরের ধ্বনি
ঐ দেখো সুরে সুরে কবিতার ছন্দ শারদীয় স্মৃতি
নির্মল অরণ্য স্বর্গীয় নিকেতন।
আবার কে যেন দূরে দুরন্ত সাহসে
ছায়াঘেরা ধূসর আকাশ পাদদেশে
বাবলা বনের হলুদ ফুলে ফুলে খচিত চমকে
গড়েছে সবুজ বিলাসী সিংহাসন।
তারই মাঝে কাশফুলগুলো শুভ্র বসনে
ঝরা শেফালির পথে দুলে দুলে নাচছে যে হংসমিথুন।
বাতাস ফুরফুর মাধুরী ভরা দুপুর আকাশের
বুক জুড়ে পরীদের নৃত্য অভিসার।
সন্ধ্যামালতী লতানো কুমড়ো অনাদরে বনে বাদাড়ে
আরো কত নাম না জানা ফুলে ফুলে সাজানো
একজোড়া কৃষাণীর বর্ণালী বাসর ঘর।
আ-হা শারদীয় সন্ধ্যায় কত না মন মাতায়।
ঐ দেখো হেঁটে যায় কলস মাথায় চৌকষ আদিবাসী নর-নারী
দারিদ্র বিমোচন সংগ্রামে নিয়ত বিস্ময়
উন্নয়নের স্রোতধারায়, রাতের শারদীয় জোছনায়
আলো আঁধারে কাশবন আকাশে হাসছে
অসাধারণ বরেণ্য বাংলাভূমি পুলকিত হচ্ছে।
চোখ বুজে যায় ভাবুক মনের
অস্পষ্ট মায়ালোকে ধূসর আকাশ
শারদীয় পূর্ণিমা রাতে কোমল স্পর্শ।
আবার উদিত হয় সূর্য শিশিরে ধোয়া উজ্জ্বল প্রভাত
ঝরা শেফালির সুবাস শারদীয় বাতাস স্রোতে
এ আমার দেশ বাংলাদেশ বরেন্দ্র ভূমির রূপে গুণে।