করোনার কারণে গত বছরের মার্চ থেকে বন্ধ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সরাসরি পাঠদান বন্ধ থাকায় চরম ক্ষতির মুখে শিক্ষার্থীরা। তবে, ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে অনলাইনে ও দূরশিক্ষণ পদ্ধতির পাঠদান করা হচ্ছে।
এখন করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় অনিশ্চয়তা বাড়ছে। ক্রমেই পিছিয়ে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ। আগামী ঈদের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
তবে, ঈদের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব না হলে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিকল্প পাঠদানে জোর দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘শুধু বাংলাদেশের এ সমস্যা নয়, সারা বিশ্বের। এক্ষেত্রে শিক্ষা চরম ক্ষতির সম্মুখীন। প্রত্যেকেই নিজস্ব সুবিধা ও পদ্ধতি অনুযায়ী এই সংকট থেকে উত্তরণের কার্যক্রম চালাচ্ছে। যেখানে অনলাইন ‘অ্যাকসেস’ ভালো আছে, সরাসরি পাঠদানের ‘গ্যাপ’ সেখানে অনেকটাই পূরণ সম্ভব হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অ্যাসাইনমেন্টও বড় রকমের সহায়তা করেছে।’’
সচিব বলেন, ‘তবে, সবখানে জীবন আগে। এই নীতি গ্রহণ করতে হচ্ছে। ঈদের পর যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব না হয় তাহলে বিকল্প পদ্ধতির পাঠদান জোরালো করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নিয়েছি। দূরশিক্ষণ ও অনলাইন পদ্ধতিতে পাঠদান চলছে। শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে নিয়ে শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর রাখা, অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হচ্ছে। এমনকি তাদের মানসিকভাবে সুস্থ রাখাতে কাজ করতে হচ্ছে। এর সুফলও মিলেছে।’
গণসাক্ষরতা অভিযানের সমীক্ষা বলছে, ৩০ শতাংশের মতো শিক্ষার্থী দূরশিক্ষণে অংশ নিয়েছে। আর ব্র্যাকের সমীক্ষা অনুযায়ী, টেলিভিশন পাঠদানে অংশ নিয়েছে ৫৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থীই দূরশিক্ষণ কার্যক্রমের বাইরে। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থী দূরশিক্ষণের অধীনে এসেছে। আর অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থীকে লেখাপড়ার মধ্যে আনা হয়েছে।