মুখগুলো নীরবে হারিয়ে গেলো।
জীবনের রঙ মেখে, মৃত্যুর মদিরা ঢেলে
এখনো সন্ধ্যার আড়ম্বরে গোধূলির ধারা;
বৃষ্টির উদ্ভাস মেখে আকাশের কণীনিকা
রামধনু সকালের মহরতে হাসে।
ওদের করোনা নেই- নববর্ষে
দিগন্তের দায় নেই- দীক্ষাও নেই!
মাধবীর কুঞ্জলতা বোশেখের
আলেয়াকে হাতছানি দেয়।
গেরুয়া মেঘের ফাঁক কষে আমাদের হালখাতা
উদরের ঝক্কি ঠেলে লকডাউনের
শরপাটা গোনে,
আহা বন্দি দিন! বন্দি রাত্রি!
আমানি পান্তার ইতিহাসে আরেক ফ্যাসাদ;
কবিদের শব্দখেলা নিঃশ্বাসের ছায়াতলে,
মৃত্যুময় প্রাণের বিহঙ্গ আইসিইউ প্রকোষ্ঠে
পৃথিবীর অতলান্ত বির্বণের নিত্যকলা
শোক আর অন্তর্দাহে অদৃশ্য দানব থেকে
আজো মৃত্তিকার সোঁদা গন্ধ চায়!
এই আলো- এই হাওয়ার বুক জোড়ানো আহ্লাদ
যাওয়া-আসার অযাচিত মেরুণ আঁধারে
বর্ষে বর্ষে প্রিয় সম্ভাষণে
আরও একটু নিভৃত আদর চায়!
নববর্ষ, তুমি শ্রেয়সী আঙুলে মুছে দাও গ্লানি!