পেশাদার ক্লাব ফুটবল মানেই অর্থের খেলা। আধুনিক ফুটবল এখন এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, অংকটা যত বড় হোক না কেন একটা পর্যায়ে তা মামুলি মনে হয়। এই যেমন গ্যারেথ বেলের কথাই ধরুন। ক্লাব ফুটবলের ইতিহাসে তিনিই প্রথম ফুটবলার যার চুক্তির অংকটা হয়েছে তিন অংকের মিলিয়ন ডলারের। ওয়েলস উইঙ্গারকে এখন অনেকেই ছাড়িয়ে গেছেন। নেইমারের ট্রান্সফার অংক তো বেলের দ্বিগুণেরও বেশি। কাছাকাছি আছেন পিএসজির আরেক স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে। এই দুজনকে দলে টানতেই চার শ মিলিয়ন ঢালতে হয়েছে পিএসজিকে। এই দুজনের চুক্তির কাছে বাকিগুলো এখন সাদামাটা মনে হয়।অথচ দুই-এক দশক আগের কথা ভাবুন। কোনো ফুটবলারের চুক্তি হবে ৫০ মিলিয়ন ডলার এটা ভাবাও কঠিন ছিল। যখন আপনি শুনবেন ক্লাব ফুটবলে চারজন উঠতি তরুণ আছেন যাদের এখনো জাতীয় দলে অভিষেক হয়নি। অথচ তাদের মূল্য ছুঁয়ে ফেলেছে মিলিয়নের হাফসেঞ্চুরি! তাও আবার ইউরোর হিসেবে। এদের মধ্যে তিনজনই ফ্রান্সের- হুলস কুন্ডি, থিও হার্নান্দেজ ও আইমেরিক লাপোর্তে। পরের দুজনের (আলাদাভাবে) বর্তমান বাজারমূল্য ৫০ মিলিয়ন ইউরো। কুন্ডি ছুঁয়েছেন ষাটের গন্ডি। ফ্রান্স জাতীয় দলে যে পরিমাণ তারকা রয়েছে সেখানে তাদের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নতুনদের দলে ঢুকে পরা খুবই কঠিন। অপেক্ষাও তাই বাড়ছে ওই ত্রয়ীর। ব্রাজিলের ডিয়েগো কার্লোসের বর্তমান বাজার মূল্য ৫০ মিলিয়ন ইউরো। আন্তর্জাতিক ফুটবল অঙ্গনে এখনো পা রাখেননি তিনি। তবে ইতোমধ্যে ক্লাব ফুটবলে আলো ছড়িয়ে লাইম লাইটে চলে এসেছেন। এই চারজনের কাছাকাছি আছেন ডেনমার্কের ফ্লোরিয়ান উইর্টজ। মিলিয়ন ইউরোর হাফসেঞ্চুরি থেকে মাত্র পাঁচ দূরে আছেন তিনি।