• Wed. Nov 20th, 2024

” আসুন জোনাকি ফিরেয়ে আনি আমাদের সাঁঝের বেলায় “-কে এম হোসেন তৌহিদ

আসলে এই মানবজাতির কঠিনতম সময়ে আমার অতি ঘনিষ্ঠ বন্ধু পাবনার অতি পরিচিত মুখ মাহফুজ কাদরীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইফতারির পরে লেখা শুরু করতে বাধ্য হলাম। আমার পিতৃ পুরুষের আদি নিবাস পাবনা জেলাতে হবার কারণে শৈশবে এবং কৈশোরের অনেক স্মৃতি মনে ভেসে ওঠে । বিশেষ করে ৭০ এবং৮০ এর দশকে সাঁঝের বেলা পাবনা শহরের আনাচে কানাচে জোনাকির আলো এবং দুর মহাকাশের ঝিকিমিকি তারার আলোয় রূপের মনোমুগ্ধকর মেলবন্ধন আমি পৃথিবীর কোথাও দেখিনি। এরপর বুড়িগঙ্গা পদ্মা ভলগা এবং ডন নদীতে অনেক স্রোত বয়ে গেছে। চিকিত্সক হবার সুবাদে এবং বন্ধুবর মাহফুজ কাদরীর সংগঠন “অননার”আহ্বানে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ দুই যুগ পর পাবনার মেহনতি মানুষের চিকিত্সা সংগ্রামে শামিল হতে হয় । অসংখ্য বার পাবনায় যেতে হয় কিন্তু আমার শৈশবের জোনাকির আলো আর খুজে পাই না বললেই চলে। পাবনা শহরে কিছু দেখা গেলেও দূর গাঁয়ে জোনাকি অদৃশ্য । কিন্তু আমাদের দেশের দৃশ্যমান উন্নয়নের সাথে জোনাকি অদৃশ্য? আরো দৃশ্যমান মরণবধী কর্কট রোগ । সবচেয়ে বেশি ক্যানসারে আক্রান্ত কৃষক। করপোরেট প্রতিষ্ঠানের অনিয়নত্রিত কীটনাশকের বলি আমরা সবাই – কৃষক,ভোক্তা,বিশেষত গর্ভবতী নারী ও শিশু । সকল কীটপতঙ্গ-মৌমাছি লুপ্ত হচ্ছে এবং জোনাকি অদৃশ্য এবং পশু পাখি তথা ভষড়ৎধ ধহফ ভধঁহধ . কিন্তু পরিবেশ ধ্বংসেরসাথে সাথে ক্যানসার রোগী বাড়বে এবং জোনাকির আলো নিভে যাবে । শুধু তাই নয় অদৃশ্য ভাইরাস এবং অন্যান্য জীবানু জগত বেসামাল। এইকারণেই বিভিন্ন ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে । আসুন আমরা সবাই মিলে পরিবেশ ধ্বংস এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ করি। জোনাকির আলো ফিরিয়ে আনি। পরবর্তী জেনারেশন সুস্থ থাকুক আমাদের নীল পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে যাব আমরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *