• Thu. May 15th, 2025

আদর্শ প্রহরী ( অসীম সাহা)

ভরা বরষায় নদীর পাড় যখন ভাঙতে থাকে

তখন বাতাসও স্তব্ধ হয়ে আকাশের

কানে কানে চুপি চুপি কথা বলে যায়।

নৌকা চলে খুব ধীরেÑমাল­াই-মাঝির কণ্ঠে বেজে ওঠে

বিষাদের ভাটিয়ালি গানÑঘুরঘুট্টি শূন্যতার চরাচরে

একটি নক্ষত্র শুধু জেগে থাকে ভুতুড়ে জ্যোৎস্নায়।

একটি বালক তখন একা একা সংগোপনে

মধুমতী-নদীজলে সাঁতরায়Ñতরঙ্গের ফেনিল

উচ্ছ¡াস নিয়ে খেলা করে ছুটে যায় সর্বগ্রাসী

সমুদ্রের উন্মাতাল স্বপ্নের দিকে।

এমন বালক তবে এতো বেশি দীর্ঘ হতে পারে!

তারপর সফেদ পাঞ্জাবি পরে আকাশকে নত করে

যুদ্ধের দ্বৈরথে এ-যুগের অর্জুন

আকাশকে কুরুক্ষেত্রের মাটিতে নামালে

জয়ী হয় পাÐবেরাÑপেছনে তাকিয়ে থাকে

পাপিষ্ঠ কৌরব। তারপর ছুটে আসে ম-বর্ণে লেখা

দুর্বিনীত বালকের রঙিন-স্বপ্ন ভরা

আদর্শলিপির এক সম্পূর্ণ পাতা! 

শৈশবের পাঠ শেষে আদর্শলিপির পাতা

রঙিন ফুলের মতো সবুজের মানচিত্রে

লিখে দেয় দুঃসাহসী কুমারের অক্ষয় নাম।

আর অপেক্ষার ব্রত নিয়ে দগ্ধ কালিতে লেখে

দুঃসাহসী আবেগের সম্পন্ন কবিতা।

              

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *