তোমাকে রেখেছি দু’চোখে আমার তোমাকে রেখেছি মনে,
স্মৃতি থেকে এনে বার বার দেখি একলা সংগোপনে।
পাবনার স্মৃতি দেখায় আমায় সুচিত্রা সেনের বাড়ি,
মানিক মজুমদারের যতœ সে কী ভুলে যেতে পারি !
কাজীরহাটের স্পিডবোটে চেপে মানিকগঞ্জে যাওয়া,
আরিচাঘাটের চা- দোকানে বসে নেড়ো বিস্কুট খাওয়া।
শতবর্ষের মুজিবের ছবি লাগানো সকল দিকে,
হাসিনার গড়া বাংলার ছবি এখনো হয়নি ফিকে।
একুশের বইমেলার বিকেলে বুকে জাগা শিহরণ,
শহিদ বেদির সম্মুখে দেখা রাশি রাশি লোকজন।
গৌড়ীয় মঠ, ঢাকেশ্বরীর মন্দির-চত্বর
একাডেমি গিয়ে পরে দেখে নেওয়া কবি তপনের ঘর।
সোনা রোদ্দুরে শীতলক্ষ্যার নৌকোর ভেসে যাওয়া,
পেরাবের তাজমহল এবং পিরামিডে ভাসে হাওয়া।
পেনাম শহরে পরিখায় ঘেরা ঈশা খাঁর রাজবাড়ি,
মধ্যযুগের স্থাপত্য সে কী সহজে ভুলতে পারি !
পরে বারদিতে বাবা লোকনাথ মেঘনার কালো জল,
মনে মনে গিয়ে নৌকো ভাসাই হয়ে উঠি চঞ্চল।
সন্ধ্যায় ঢাকা নৌ-বন্দরে রাতের জাহাজ চাপি,
বুড়িগঙ্গা ও কীর্তনখোলা –শীতল হওয়ায় কাঁপি।
ভোরে বরিশাল শহ১রকে দেখে পিরোজপুরের গ্রামে,
ভটভটি অটো একটা সময় আতা-গ্রামে গিয়ে থামে।
পরদিন ভোরে সেই মহাক্ষণ সামনেই ধানসিঁড়ি,
কুয়াশা-মাখানো নদীর ওপর হাওয়া বয় ঝিরিঝিরি।
ধানসিঁড়ি বলে, যাও বন্ধুরা, ডাকছে কুমার নদী,
ফরিদপুরের জসিমউদ্দীন -ভিটে দেখো চাও যদি।
তাও দেখলাম, পরে ফিরলাম যশোরের বেনাপোলে,
সাতটি দিনের ভ্রমণের ছবি চোখে যেন ঢেউ তোলে।
মনে মনে বলি, মুজিব তোমার বাংলাকে দেখে নিলাম,
সোনার বাংলা দেখে হাসিনাকে হাজার সেলাম দিলাম।
বললাম, আহা অপরূপ তুমি- এখনও ভাসছো চোখে,
আমার কলমে তোমাকে ছড়াবো পূর্ণ বিশ্বলোকে।