তুমি না আপনি– এভাবেই কেটে গেলো সুযোগ্য দুপুর।
শিশুর বানান করা বাক্য তৈরির কৌশলে
আমিও সংশয়ে তুমি-আপনি এড়িয়ে
পথ হাঁটি সংলাপের।
কলেজের নাম করে এসে সম্মুখে উদাস বসে থাকা নারী
ভাঙেনা দেয়াল, সেও
খেয়াল করে না কতো কবুতর-ব্যাকুলতা বাক্ বাকুমের।
আমি কি ছোঁব না হাত, ঠোঁট ফেলবো না ঠোঁটের নোঙর?
বনেদী কৃষক হাতে চারা রোপণের সুরে গোলাপি গোলাপ
খোঁপায় গোঁজার আগে রমণী স্বভাবে সে কি বলবে না-
শাড়িতে আমায় কেমন মানায়?
সে কি জানাবে না– রাতের কতটা ঘুম কেড়ে নেয় একলা আবেগ
সে কি জানাবে না– কোন সে তারিখে কেঁদে ওঠে গোপন অসুখ
সে কি জানাবে না– বাঁ বুকের পাদদেশে তার রয়েছে জডুল
সে কি জানাবে না– উদ্বিগ্ন পিতার তড়িঘড়ি ছেলে খোঁজা গল্প?
তার চেহারার সুদৃশ্য প্রচ্ছদে অভিনেত্রীর অমিয় আবেগ
শরীর কাঠামো জুড়ে টগবগ করে এক রাগী খেলোয়াড়,
শোভন স্বভাবে সেতো পরিচারিকার নম্র প্রাণ
কণ্ঠে কুজন হয়ে জন্ম নেয় অবাক ঘোষিকা
হয়তো রন্ধন তার দক্ষ পাচকের প্রতিভার প্রতিসম
প্রতিকার চেতনার কতো কথা অথচ বাতাস খেয়ে খেয়ে
তুমি না আপনি– এ রকম সর্ম্পকের কাঁটাতার বেয়ে
আমরা সাবাড় করি আরো কিছু আনুষ্ঠানিক সময়,
আমার অথবা আমাদের যুগল উচ্ছাস ঘুম পাড়ে জেগে জেগে।
আমরা কেবল বসে থাকি বাদামের খোসা ভাঙা
দুপুরের খিদে ভাঙা মেধাহীন জুটি….
তুমি না আপনি– এই দেয়াল ভাঙার অপেক্ষায়।
# অক্ষরবৃত্ত শামসুর রাহমান মনোনীত কবিতা’