• Mon. Dec 2nd, 2024

ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস ও প্রতিকার
‘হ্যাভ আই বিন পনড’

facebook কি তাহলে ইউজারদের সুরক্ষা দেয়নি?
অনন্য কথা ডেস্ক: সম্প্রতি ৫৩৫ মিলিয়ন (৫৩ কোটি ৩০ লাখ) ঋধপবনড়ড়শ ইউজারের তথ্য অনলাইনে লিক হয়েছে। সংস্থা দাবি করেছে যে এই তথ্যগুলো ২০১৯ সালের, তাই ইউজারদের উদ্বিগ্ন বোধ করার কোনও কারণ নেই।কিন্তুু অনলাইনে কীভাবে ব্যবহারকারীদের তথ্য ফাঁস হয়েছে সে বিষয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালত ফেসবুককে ৫০০ কোটি ডলার জরিমানা করে। ২০১১ সাল থেকে নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে ব্যবহারকারীদের ফোন নম্বর নেওয়া শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক। একই সঙ্গে ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তার জন্য ‘টু-ফ্যাক্টর ভেরিফিকেশনের’ ফিচারও যোগ করা হয়। তারপরেও ২০১৯ সালের আগস্টে ব্যাপক আকারে ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। ঋধপবনড়ড়শ তাদের চলতি বছরের একটি ব্লগ পোস্টে দাবি করেছে যে,হ্যাকাররা যে কোনও সময়ে নানা পথ অবলম্বন করে ইউজারদের তথ্য চুরি করতে পারে। তাদের কার্যকলাপ যেহেতু সময় এবং প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে বদলায়, আর তাই কোনও নির্দিষ্ট উপায়ে তার প্রতিকার সম্ভব নয় । তবে এটুকু প্রতিশ্রুতি দিতে ভোলেনি যে তাদের একটি বিশেষ টিম এবার থেকে ইউজারদের সুরক্ষার স্বার্থে সব সময়ে সক্রিয় থাকবে। ঠিক এই জায়গা থেকে ঋধপবনড়ড়শ-এর ইউজারদের ব্যক্তিগত ডেটা অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, যে প্রশ্নগুলো উঠছে ইউজারদের তথ্যসুরক্ষা নিয়ে, তা আরও জোরদার হয়ে উঠছে। ঋধপবনড়ড়শ কি তাহলে এত দিন ইউজারদের সুরক্ষার বিষয়টিতে তেমন নজর দেয়নি? বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, ব্যাপারটি একেবারেই তা নয়, হলে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের ব্যক্তিগত তথ্যও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়তে পারে না! সাইবার নিরাপত্তা গবেষক ড্যাভ ওয়াকার টুইটারে মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) মার্ক জুকারবার্গের তথ্য ফাঁস হওয়ার খবর নিশ্চিত করেন। এ সময় ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী ও সহ-প্রতিষ্ঠাতার ফাঁস হওয়া ফোন নম্বরটির ছবি প্রকাশ করেন।। ওই ছবিতে দেখা যায়, মার্ক জুকারবার্গ মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম সিগন্যাল ব্যবহার করছেন। যা ফেসবুকের মালিকানাধীন নয়। তবে এ বিষয়ে
ফেসবুক কোনো মšতব্য করতে রাজি হয়নি। কিন্তু এত সহজে বিষয়টির নিষ্পত্তি হচ্ছে না। কেন না, সাইবার সিকিউরিটি ওয়ার্কাররা পরখ করে দেখেছেন যে সব ফোন নম্বর, ই-মেইল আইডি অনলাইনে লিক হয়েছে, তার অনেকগুলোই এখনও সক্রিয়। লিক হওয়া অন্য তথ্যের মধ্যে রয়েছে জন্মতারিখ, লোকেশন, ঋধপবনড়ড়শ ওউ- এগুলোও কেউ চট করে পরিবর্তন করেন না। ইজরায়েলের সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম হাডসন রক-এর প্রতিষ্ঠাতা অ্যালন গল এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যেন ইউজারদের উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। তিনি বলেছেন যে ২০১৯ সাল থেকে হ্যাকাররা প্রথমে এই সব তথ্যগুলোকে বিক্রি করা শুরু করে। সম্প্রতি তারা অনলাইনে তা বিনামূল্যে ডাউনলোডের জন্য ছেড়ে দিয়েছে। এর মানে যখন-তখন, যে কেউ এই ডেটাগুলো অ্যাকসেস করতে পারবে। সেই মতো নানা ফোন কলের মাধ্যমে, নানা লিঙ্ক পাঠিয়ে ইউজারদের ফোনের তথ্য হাতানোর চেষ্টা করতে পারে তারা। এমনকি, ঝওগ সোয়্যাপ টেকনোলজির মাধ্যমে অন্য ফোনে ইউজারের কনট্যাক্ট টেনে তথ্য বের করে নিতে পারে। এই প্রসঙ্গে ঋধপবনড়ড়শ জানিয়েছে যে তারা সেই ২০১৯ সাল থেকেই ফোন নম্বর সার্চের মাধ্যমে প্রোফাইল খুঁজে বের করার অপশনটি বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে হ্যাকাররা চাইলেও খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না। কিন্তু পাশাপাশি তারা এটাও বলছে যে যাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে, তাঁদের আলাদা করে কোনও টেক্স বা মেইল পাঠিয়ে সেটা জানানোটাও তারা করে উঠতে পারবে না। মোটের উপরে নিজেদের ঘাড় থেকে প্রায় সব দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছে সংস্থা। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে যে, অনলাইনে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে কিনা তা সহজেই বুঝতে পারবেন ‘হ্যাভ আই বিন পনড’ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। ঐধাব ও ইববহ চহিবফ এখানে গিয়ে নিজের ফোন নম্বর এন্টার করে দেখতে হবে। অবশ্য সেটা এন্টার করতে হবে আšতর্জাতিক কোড মেনে। মানে, বাংলাদেশের নম্বর হলে ১১ ডিজিটের মোবাইল নম্বরের আগে বসাতে হবে ৮৮। এবার ওই নম্বর সংক্রান্ত ঋধপবনড়ড়শ অ্যাকাউন্টের তথ্য যদি লিক হয়ে থাকে, তাহলে তা সার্চে উঠে আসবে। সেই মতো পদক্ষেপ করতেও অসুবিধা নেই! পাশাপাশি, বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে প্রত্যেক ঋধপবনড়ড়শ ইউজারেরই অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করার জন্য টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করে রাখা উচিত। এতে অন্য ডিভাইজে লগ-ইন হলেই রেজিস্টার করা নম্বরে আপডেট এসে যাবে ওটিপি-র সূত্রে। সেই ওটিপি নম্বর এন্টার না করলে লগ-ইন করা যাবে না। এছাড়া প্রোফাইলও পাবলিক না করে রেখে লক করে রাখা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *