০১) শাপলা চত্বরের ঘটনা যখন ঘটে তখন হেফাজতের নেতৃত্বে ছিলেন মরহুম আল্লামা শফী হুজুর, যিনি ছিলেন আধ্যাত্মিক এক ধর্মীয় গুরু। তারও আগে যখন শায়খুল হাদীসেরা ছিলেন, তারাও ছিলেন আধ্যাত্মিক ধর্মীয় গুরু। প্রচলিত দুনিয়াবী রাজনীতির রঙ্গ মঞ্চ নিয়ে খেলা খেলতে তারা খুব একটা অভ্যস্থ এবং ব্যতিব্যস্ত ছিলেননা। হাফেজ্জী হুজুর, আল্লামা আজিজুল হক, লুতফুর রহমান শায়েখ বর্ণভীর, আল্লামা শাফীর পর হেফাজতের বাবু নগরী, শায়েখ নূরুল ইসলাম চট্রগ্রামী, মামুনুল হকদের হাতে এসে বর্তায়। এই নেতৃত্ব প্রকৃত পক্ষে তখনকার আধ্যাত্মিক নেতৃত্বের চাইতে আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান ও বর্তমান বাস্তবতার সাথে রাজনীতি ও ধর্মীয় রীতি নীতি পরিপালনে ও খাপ খাইয়ে নিতে ও কৌশলী খেলায় অনেক পরিপক্ক এবং সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। যা বর্তমান ট্র্যাডিশনাল শিক্ষিত শ্রেণীর সাথে হেফাজতের এই সংঘাত অনেকটাই এখন প্রকাশ্য।
এই কারণে বলছি যে, সাম্প্রতিক সময়ে হেফাজতের হরতাল কিংবা ভাংচুর অথবা গতরাতের মামুনুল হকের হেনস্থা নাটক, সব কিছু মিলিয়ে যে ম্যাসেজটি তারা শক্তভাবে দিয়েছে, তাহল হরতাল করতে আওয়ামীলীগ কিংবা বিএনপি কোনটারই হেফাজতের দরকার নেই। একাই তারা যথেষ্ঠ। আর দ্বিতীয় যে ম্যাসেজটি তারা দিয়েছে, বাংলাদেশের যেকোন জায়গায় যেকোন স্থানে, যেকোন সময়ে যে কোন প্রতিপক্ষের সাথে তারা লড়তে প্র¯স্তুত। এই দুই ম্যাসেজের বিপরীতে সিনারীওর পেছনে যে ঘটনাগুলো ঘটছে, রাজনীতি সচেতন ও বিশ্লেষকদের কাছে বেশ ধর্তব্য।
০২) ক্ষমতাসীন সরকার মাহমুদুর রহমান মান্না, নূরুদের বিরোধীদলের ভুমিকায় নিয়ে আসতে ব্যর্থ হয়ে বলা যায় তাদের দ্বিতীয় ছক হেফাজতকে নিয়ে নিরাকরনে নিরাকন শুরু করে। শুরুতে আল্লামা শাফীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হেফাজতে এক ধরনের ভাঙ্গন বা ফাটল ধরানোর চেষ্ঠা করে রাজনীতির চাল চালিয়ে সুবিধাজনক পর্যায়ে পৌছতে না পারলেও বাবু নগরীকে কেন্দ্র করে নতুন আশার সঞ্চার দেখে। ক্ষমতাসীনদের পরিকল্পনা ছিল হেফাজতকে আগামী রাজনীতিতে বিরোধীদলের ভুমিকায় নিয়ে আসলে একদিকে বিএনপি-জামায়াতকে যেমন চেক এন্ড ব্যালেন্স করা যাবে, অপরদিকে বিশ্ব মোড়লদেরও সিগন্যাল দেয়া যাবে, বাংলাদেশ থেকে নতুন করে জঙ্গিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে যাতে উঠতে না পারে, সেজন্য ধর্মীয় শক্তিশালী এই অংশটিকে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ভারত ও মার্কিনীদের স্বার্থেই বরং সরকার ভুমিকা রেখেছে। ০২) মামুনুল হক নিজেই বলেছেন তারা সবার সাথেই যোগাযোগ রাখেন এবং যোগাযোগ রাখছেন। সরকারের ভেতরের গোয়েন্দাদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয় হেফাজত ইস্যুতে। সরকারের ভেতরের গোয়েন্দাদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয় হেফাজত ইস্যুতে।
দেয়াটাই স্বাভাবিক। পৃথিবীর যে জায়গায়ই ধর্মীয় অংশকে নিয়ে রাজনীতির খেলা খেলা হয়েছে, সেখানেই সরকারের ভেতরের ষ্ঠেক হোল্ডারদের মধ্যেই দ্বিধা দ্বন্ধ এবং বিভক্তি দেখা দেয়। সেই বিভক্তির বহিঃপ্রকাশ আমরা দেখি হেফাজতের হরতালের সময়ে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী একশতভাগ সরকারের লজিস্টিক সাপোর্ট হিসেবে দেখা যায়নি। এটাই হওয়াই স্বাভাবিক। উন্নত বিশ্বে যখন এরকম পলিসি নিয়ে সরকার খেলে তখন সব কটা লজিস্টিক বাহিনীকে আগে থেকে এডুকেটেড করা হয়, যেমন করে ব্রিটেন, ইউরোপ এবং আমেরিকা এমনকি তুরষ্ক ও ইরান। হেফাজতের হরতালের সময়ে গোয়েন্দাদের মধ্যে চরম হতাশা এবং সমন্বয়হীন লক্ষ্য অনেকেরই দৃষ্ঠিগোচর এখন ওপেন সিক্রেট। ০৩) নরেন্দ্র মোদী যখন বাংলাদেশে আসেন, ক্ষমতাসীন সরকার ঢাক ঢোল পিঠিয়ে বঙ্গবন্ধুর শতবার্ষিকী আর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে প্রধান অতিথি করে নিয়ে আসে। দেশের ভেতরে নির্বাচনের ঢামা ঢোলে মোদী প্রায় বিপর্যস্ত ও কাবু। অপরদিকে দক্ষিণ এশিয়ায় লিডারশিপ ভারতের নেতৃত্ব হয়ে পরে নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ ও হুমকীর মুখে। চীন রাশিয়া পাকিস্তান ইরান তুরস্কের নতুন জোট মোদীকে যেমন করে তোলে বিপর্যস্ত তেমনি মুরুব্বী বাইডেন প্রশাসনকেও করে তোলে ব্যতিব্যস্ত। বাইডেন তোড়জোড় চালাচ্ছেন ঢাকায় মার্কিন পরামর্শক এক্সপার্ট বসাতে(সামাল দিতে ও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে চীনকে ঠেকাতে)। সেক্ষেত্রে মার্কিনীদের হয়ে ভারতের ক্যাপ্টেনসির উপর খুব একটাও বাইডেন প্রশাসন এককভাবে ভরসা করতে পারছেনা। আবার ভারতও মার্কিনীদের হয়ে ক্যাপ্টেনসির হাতছাড়া কোনভাবে করতে চাচ্ছেনা। তুরষ্ক ইরান যখন ঢাকায় ইন করে ভারতের তখন মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠে। তার উপর আছে মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে চীনের সরব উপস্থিতি। চীনকে ভর করে চুপিসারে পাকিস্তান ঢাকায় ঢুকে যায় নিরবে সঙ্গোপনে। বাইডেন মোদী রাজনীতির খেলায় চীন-তুরষ্ক-রাশিয়ার চালে বলা যায় সিনারীওর পেছনে পরে যান। তাদের জন্য দরকার হয়ে পরে শক্তিশালী এজেন্ট। দোরাস্বামী দৌড় ঝাপ করে হেফাজতের সাথে নরেন্দ্র মোদীর এবং মার্কিনীদের সাথে হেফাজত নেতৃত্বে যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ার পরেই নরেন্দ্র মোদী ঢাকা সফরের গ্রিন সিগন্যাল দিলেন। ক্ষমতাসীন সরকারের রাষ্ট্রীয় অতিথি হয়ে এসেও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের আড়ালে নরেন্দ্র মোদী সরকার ছাড়াও আগামীদিনের সব কটা ষ্ঠেক হোল্ডারদের সাথে বৈঠক করেন। মামুনুল হকের সাথে যোগাযোগের পর মোদী বিরোধী কট্রর ভুমিকা থামিয়ে দ্বিমুখী কৌশল হেফাজত-মোদী অনেকটাই রাষ্ট্রীয় রীতি নীতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মোদী তার সফরের দুই ঘন্টা পর্যন্ত বিলম্ব করেন। মামুনুল হক একজন মাওলানা, আল্লামা নূরুল ইসলামও মাওলানা অথচ আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় রাজনীতিতে তাদের দক্ষতা এবং পরিপক্কতা এখন দেশ ছাড়িয়ে নয়াদিল্লি এবং পেন্টাগনের টেবিলেও বিশ্লেষণ হয়। যেকারণে আমরা দেখি হরতাল পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে নূরুল ইসলাম চট্রগ্রামী অত্যন্ত মার্জিত এবং সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির ভাষায় বক্তব্য উপস্থাপন করেন। যা অনেককে তাক লাগিয়ে দেয়। ০৪) ব্রাম্মণবাড়িয়ার ঘটনা হেফাজত নেতৃত্বকে নতুন করে ভাবনার উদ্রেক করে দেয়। আবার যদি বলি হেফাজতকে রুখতে রাস্তা বন্ধ করে পাঁচ ফিট উচু ইটের প্রাচীর দেয়ার মতো আজগুবি ফর্মুলা কারা দিয়ে সরকারকে বিব্রতকর এক অবস্থায় ফেলে দিয়েছে? খালেদা জিয়াকে বালির বস্তা ও ট্র্যাক দিয়ে আটকানো সফলতা পেলেও হেফাজতকে ইটের প্রাচীর দিয়ে আটকানো কৌশল বুমেরাং হতে বাধ্য।সেটাতো দিবালোকের মতো পরিষ্কার। সরকারের দ্বৈত খেলা হেফাজত নেতৃত্ব এতো দ্রুততার সাথে আত্মস্থ করে যা ক্ষমতাসীনদের নীতি নির্ধারনীদের চিন্তাও করতে পারেনি। সম্পূর্ণ পুলিশী তথ্যের উপর ভর করে (এটাই বাংলাদেশে স্বাভাবিক )
ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠণের নেতারা মামুনুল হক ও গোয়েন্দাদের বিপরীত অংশের পাতানো ফাদে ধরা দিয়ে দেয় ( সরকার সেখানে যাওয়ার আগে একবারও চিন্তা করেনা, মামুনুল কেন হঠাত এমন করছে? উত্তাল পরিস্থিতির সময়ে সে কেনইবা রিসোর্টে যাবে? শুধু এই প্রশ্ন নিয়ে নাড়া চাড়া করলেইতো খেলা পরিষ্কার হয়ে যায় ?)। মামুনুল জানতেন ( সমস্ত ঘটনা বিশ্লেষণ করলেই বোধগম্য হয়ে যায়, নায়ক তার খেলার ছকে অপেক্ষায় বসে ছিলেন- । কারণ তার্কিশ ইতিহাস কিংবা মুসলিম ইতিহাসের অনেক ঘটনাই মোনাফেকী রাজনীতির বিপরীতে এরকম কৌশলী খেলা আত্মস্থের বিবরণ রয়েছে, হালের এর্তুগুল এবং কুরুলুস ওসমানেও সেসব নাটকের রূপ দিয়ে দেখানো হয়। হেফাজতের এই নেতৃত্ব বর্তমান সরকারের কৌশলী খেলা বেশ ভালোভাবেই আত্মস্থ করেই মাঠে নেমেছে বুঝা যায়) এমন ঘটনার প্রেক্ষিতে আওয়ামীলীগ এমপি ও স্থানীয় নেতারা হোটেল ঘেরাও করে উত্তপ্ত করে তুলবে। হেফাজতের নেতা কর্মীরাও উত্তপ্ত হয়ে মুখোমুখি অবস্থানে চলে আসবে। রাতের আধারে সরকার শাপলা চত্বরের মত ঘটনার দিকে যাবে। উত্তাল পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে হেফাজত থাকবে সরকার প্রধান বিরোধী অবস্থানে, নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে তাদের হাতেই। গোয়েন্দাদের বিপরীত অংশ (ভারতীয়-মার্কিনীদের সমর্থন পুষ্ট) থাকবে নিরব ভুমিকায়। তুরষ্ক-ইরান-চীন লবিষ্ট অঘটনে থাকবে সক্রিয়। আইন শৃংখলা বাহিনীর ধারণা ছিল নূরু মান্নাদের মত মামুনুলকে হেনস্থা করে শেষ করে দেয়া যাবে। কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে গোয়েন্দা কাউন্টার গোয়েন্দাদের সক্রিয় অবস্থানে আইন শৃংখলা বাহিনীর টনক নড়ে। সমস্ত ঘটনা বুঝে উঠতে বিন্দু মাত্র সময় নেয়নি। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে কড়া নির্দেশ চলে যায় পরিস্থিতি কোনভাবেই কাউকে ঘোলা করতে দেয়া যাবেনা। কড়া বার্তায় মামুনুলকে পুলিশী হেফাজতে হেফাজত নেতৃত্বের কাছে তুলে দেয়া হয় সসম্মানে। মামুনুল নিজের দৃঢ়চিত্তের কারণে পরিস্থিতি সরকার সমর্থক গোয়েন্দাদের বোধগম্য হয়ে যায়- । মুহুর্তেই হেফাজতের নেতা কর্মীরা সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুধু নয়, অসংখ্য নেতা কর্মী হোটেলে ঘেরাও করে মামুনুলকে উদ্ধার-সমস্ত ঘটনাই সরকারের বিরুদ্ধে যায়। এর মধ্যেই অতি উৎসাহী মিডিয়া(যারা বার বার সরকারকে বিপদে ও বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলছে, তারা উদ্ভট এক নারীকে নিয়ে ইন্টারভিউ প্রচার করে, যেকিনা ইন্টারভিউয়ের সময়ে হেসে ফেলে, বাথরুমের জানালা খোলা থাকা সত্যেও বাইরের উত্তপ্ত পরিস্থিতির কোন শব্দই আসেনা, ম্যাক্সি পরিহিত নারীও সে সময়-সন্দেহের ভিতকে আরো বড় করে তোলে। শুধু কি তাই বোকার মতো সফটওয়ার দিয়ে অডিও ছাড়ে) পরিস্থিতিতে আরও হাল্কা ও রসালো করে ফেলে। যা সরকারের ইমেজ সংকটের দিকেই দ্রুততার সাথে ধাবিত করে। এই ধরনের অতি উৎসাহীদের না থামালে ক্ষমতাসীনদেরকে আরও কঠিণ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। কারণ এদের অতি উতসাহীতার কারণে ১৯৯৬ সালে শায়খুল হাদীসের সাথে আলীগ হাইব্রীডরা বেয়াদবী করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলে দিয়েছিল, যার খেসারত শেখ হাসিনার সরকারকে দিতে হয়েছিল, অথচ ওবায়দুল কাদেরের ভাষায় হাইব্রীডরা তখন পালিয়েছিল। রাজনৈতিক খেলায় দক্ষ এবং কৌশলী শেখ হাসিনা শেষ মুহুর্তে সক্রিয় না হলে গত রাতে পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নিত। শেখ হাসিনা জানেন কখন কোন চাল দেয়া দরকার। সরকার প্রধানতো হবেন সেরকম দক্ষ এবং কৌশলী। প্রধানমন্ত্রীর টিমকেও সেভাবে হতে হবে দক্ষ এবং চৌকস। মামুনুলও তৎপরবর্তী পরিপক্ক রাজনীতিবিদের মতো সবাইকে শান্ত থাকার বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখায় রাজনীতির দাবার চাল ও অন্দর মহলে হয়ে যান আরও জনপ্রিয় এবং অপ্রতিদ্বন্ধি। একশ্রেণীর অতি উৎসাহী দলকানা অন্ধদের প্রোপাগান্ডায় মামুনুল ক্রমেই হয়ে উঠছেন অপ্রতিদ্বন্ধি, অপ্রতিরোধ্য, যা ক্ষমতাসীনদের জন্য হেফাজতকে নিয়ে খেলার কৌশল হয়ে উঠছে আরও কঠিণ । অবাক করার বিষয় কোন তথ্য আগাম কেন সরকারকে জানানো হয়নি বা হয়না কেন? অন্যভাবে যদি বলা যায়, পাতানো ছকে সরকার কেন পা দিবে? আবার এটাও যদিও বলি সরকার ছক একে নিজেই কেন ধরা দিল? সরকারেরতো নিরাপদ দুরত্বে অবস্থান করে খেলা দেখার কথা। সেখানে সরকারকে কারা নিয়ে গেল? তাদের কী উদ্দেশ্য? তারা কাদের হয়ে মাঠে সক্রিয়? সেসব খতিয়ে দেখা দরকার? হরতালে কারা টাকা দিয়েছ? সরকারের ভেতরের কোন অংশ টাকা বিতরনে জড়িত সেসব আগে দেখা দরকার এবং স্ট্র্যাটেজী নতুন করে সাজানো দরকার। কেননা শাপলা চত্বেরর হেফাজত আর এই হেফাজত এক নয়। এক ভাবা হলে রাজনীতির চাল এভাবে মুখ থুবরে পরবে। অন্যভাবে যদি বলি, মাহমুদুর রহমান মান্না, নূরুল হক নূরু কিংবা বয়সের ভারে ন্যজু ঐক্যজোটের মতো এই হেফাজতের সাথে যত তামাশার রাজনীতি করা হবে, এই হেফাজত ততো বেপরোয়া হয়ে উঠবে। ঢাকার রাজনীতিতে আরও নাটকীয়তা ও কৌশলী খেলা চলবে আগামী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত, সেটা এখন অনেকটাই পরিষ্কার। তবে খেলা যত চৌকস এবং পরিচ্ছন্ন হবে সেটা জনগনের জন্য হিতকর হবে, নতুবা দেশ জাতি ও জনগনের জন্য ভোগান্তির কারণ হতে পারে। বিঃদ্রঃ- মনে রাখা দরকার এটা একটা রাজনৈতিক বিশ্লেষণ। এটা কোন ব্যক্তিগত মতামত নয়। কারো প্রতি অনুরাগ বা বিরাগভাজন কিংবা কোন দলীয় আনুগত্য বা মতাদর্শের প্রতি সমর্থন অথবা বিরোধীতা নয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শাখা প্রশাখায় বিচরণের এক রাজনৈতিক বিশ্লেষণ।
চলবে ।
০৪ এপ্রিল ২০২১ লন্ডন